বিনোদন ডেস্ক:
অবশেষে শাকিব খান-অপু বিশ্বাসের ডিভোর্স কার্যকর হতে যাচ্ছে। শাকিব খান অপু বিশ্বাসকে তালাকের নোটিস পাঠিয়ে ছিলেন গেল বছরের ২২ নভেম্বর। আইন অনুযায়ী সেটা কার্যকর হতে সময় লাগে ৯০ দিন অর্থাৎ ৩ মাস। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অপুকে পাঠানো শাকিবের তালাক নোটিশের ৯০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। শর্ত অনুযায়ি ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্বামী-স্ত্রী থাকছেন না শাকিব-অপু।

দ্বিতীয় দফায় শাকিব-অপুকে ১২ ফেব্রুয়ারি ফের তলব করা হয় উত্তর সিটি করপোরেশনের মহাখালিস্থ ৩ নম্বর আঞ্চলিক অফিসে। কিন্তু শাকিব সিডনি থাকার কারণে আগামীকাল হাজির হবেন না। জানান, অপুর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আগ্রহী নন। একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে শ্রদ্ধা থাকতে হবে। আমি মনে করি, তা এখন আর অবশিষ্ট নেই।

ডিভোর্স নোটিশ পাঠানোর পর শাকিব-অপুর দাম্পত্য জীবনে মীমাংসার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে গেল ১৫ জানুয়ারি দুজনেই তলব করা হয়। সেখানে অপু উপস্থিত হলেও ছিলেন না শাকিব খান। তিনি তখন নোলক ছবির শুটিংয়ে হায়দ্রাবাদ ছিলেন।

শাকিব জানান, তালাক কার্যকর হওয়ার পর অপু বিশ্বাসকে বিয়ের দেনমোহর বাবদ সাত লাখ টাকা পরিশোধ করবেন। ছেলের খরচ বাবদ এখন প্রতি মাসে অপুকে এক লাখ দিচ্ছেন। ছেলের সমস্ত দায়িত্ব নিবেন বলেও জানিয়েছেন শাকিব।

এদিকে অপু বিশ্বাস বলেন,‘ জয়কে মানুষের মতো মানুষ করতে আমাকে অনেক লড়াই করতে হবে। আমি চাই আমার ছেলে আব্রাহাম জয় দেশের আদর্শ একজন নাগরিক হিসেবে বেড়ে উঠুক। ভবিষ্যতে আব্রাম আমার পরিচয়ে নয়, আমিই ওর পরিচয়ে বাঁচতে চাই।’

শাকিব-অপুর বিয়ে হয় ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল। কিন্তু ৯ বছর বিয়ের খবর গোপন রাখেন এই তারকা জুটি। গেল বছরের ১০ এপ্রিল একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সী ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন অপু। বিয়ের খবর প্রকাশের আট মাসের মাথায় বিবাহ বিচ্ছেদে গেলেন তারা।