বিশেষ প্রতিবেদক
দেশী-বিদেশী পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়দের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক। কিন্তু অতিগুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্বেও এ সড়ক দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়ে আছে। ফলে ভ্রমন পিপাষু পর্যটক ও স্থানীয় লোকজনের যাতায়তে অনেকটা কোমর ভাঙ্গার অবস্থা সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে সাধারণ জনগনের মাঝেও চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এদিকে জনগনের দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে জনদুর্ভোগের খানাখন্দকে ভরা এ সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সড়ক বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। কক্সবাজার পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মুজিবুর রহমানের বিশেষ অনুরোধের প্রেক্ষিতে ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউন্সে সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমাকে সামনে ডেকে সরাসরি এ নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মেয়রের সাথে আলাপ-আলোচনা পরামর্শ করে যেখানে যেখানে সমস্যা আছে সবকিছু যেন দ্রুত টেকসই সংস্কার করে দেয়া হয়। মন্ত্রী আরো বলেন, ‘কক্সবাজার হলো বিশ^মানের পর্যটন নগরী, এখানে সবসময় হাজার হাজার পর্যটক আসা যাওয়া করে। তাই কোথাও যেন খানাখন্দক না থাকে সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশনার সাথে সাথে দ্রুত সুবিধাজনক সময়ের মধ্যে পৌরসভা ভবনের সামনে থেকে বার্মিজ মার্কেট, কালুর দোকান, তারাবনিয়ারছড়া, পিটি স্কুল, হাসেমিয়া এলাকা ও আলিরজাহাল হয়ে বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত প্রধান সড়কের সংস্কার শুরু করবেন বলে মন্ত্রীকে অবহিত করেন নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা।
এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, আবদুর রহমান বদি, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন ও পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।