কমিউনিটি রেডিও’র আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল, ২০১৯ ১১:২৫

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


জাতিসংঘের তথ্য সমাজ বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলন পুরস্কার-২০১৯ গ্রহণ করেন কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক ও বিএনএনআরসি-এর সভাপতি রেজাউল করিম চৌধুরী

জাতিসংঘের তথ্য সমাজ বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলন পুরস্কার-২০১৯ গ্রহণ করেন কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক ও বিএনএনআরসি-এর সভাপতি রেজাউল করিম চৌধুরী

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
বিএনএনআরসি-এর কমিউনিটি রেডিও বিষয়ক দু’টি মৌলিক উদ্ভাবনী উদ্যোগ জাতিসংঘের তথ্য সমাজ বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনে চ্যাম্পিয়ন হিসাবে ‘ডব্লিউএসআইএস’ ২০১৯ এর স্বীকৃতি পেয়েছে।

বিএনএনআরসির ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ও বেসরকারী সংস্থা কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক জনাব রেজাউল করিম চৌধুরী ৯ এপ্রিল সুইজারল্যান্ডের জেনেভার ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে আয়োজিত ডব্লিউএসআইএস ফোরামে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর সেক্রেটারি জেনারেল মি. হওলিন ঝাও এর কাছ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন সম্মাজনক এই ফোরামে ৯০ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে এবং এর মধ্যে মধ্যে ১৮ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

সম্মাননা প্রাপ্ত উদ্যোগ/প্রকল্প দুটি হচ্ছে কোস্ট ট্রাস্টের সহায়তায় বাস্তবায়িত ‘কমিউনিটি ক্লাইমেট জাস্টিস এন্ড রেসিলিয়েন্স থ্রো কমিউনিটি রেডিও এ্যাট কোস্টাল এরিয়াস অব দ্য বে অব বেঙ্গল ইন বাংলাদেশ’ এবং ফ্রেডরিক নোমেন ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম-এর সহায়তায় বাস্তবায়িত ক্রিয়েটিং অ্যাওয়ারনেস অন রাইট টু ইনফরমেশন (আরটিআই) থ্রো কমিউনিটি রেডিও’,।

পুুরস্কার প্রাপ্ত কমিউনিটি কøাইমেট জাস্টিস এন্ড রেসিলিয়েন্স থ্রো কমিউনিটি রেডিও এ্যাট কোস্টাল এরিয়াস অব দ্য বে অব বেঙ্গল ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রজনন স্বাস্থ্য, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ রোধ, জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন, দুর্যোগের প্রস্তুতি ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস (ডিআরআর) বিষয়ে উপকূলের জনগণের মধ্যে সচেতনতা এবং সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।

অন্যদিকে ক্রিয়েটিং অ্যাওয়ারনেস অন রাইট টু ইনফরমেশন (আরটিআই) থ্রো কমিউনিটি রেডিও প্রকল্পটির মাধ্যমে কমিউনিটি সংলাপের মাধ্যমে তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ এর প্রয়োগে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ব্যাপক এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ তথা তথ্যে প্রবেশাধিকারের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্ব-প্রণোদিতভাবে তথ্য প্রদানে উৎসাহ প্রদান এবং তথ্য প্রদানকারী ও তথ্যগ্রহণকারী উভয় পক্ষের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি করছে।

জাতিসংঘের তথ্য সমাজ বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলন পুরস্কার একটি অদ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা যা ডব্লিউএসআইএস-এর অংশীজনদের অনুরোধে ব্যক্তি, সরকার এবং নাগরিক সমাজকে মূল্যায়নের একটি আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া যা আন্তর্জাতিক সংস্থা, গবেষণা সংগঠন, প্রাইভেট কোম্পানীগুলোর তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন ও কৌশল সাফল্যের সাথে বাস্তবায়নের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ডব্লিউএসআইএস বিষয়ক পুরস্কার বিশ্বের বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন নিজ কাজের মাধ্যমে বিশ্ব সম্প্রদায়কে একটি সমাজ মনে করে এর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য কাজ করে। ২০১২ সালে এই প্রতিযোগিতা প্রথম শুরু হয় এবং তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ক্ষেত্রে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ডব্লিউএসআইএস বিষয়ক পুনরালোচনা ও ফলাফলে প্রতীয়মান হয়েছে যে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন এবং ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার ২০১৬ এর একটি নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে। ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার এর জন্য প্রতিযোগিতা সাফল্যের জন্য একটি প্ল্যাটফরম হিসেবে কাজ করছে যা জেনেভা ডব্লিউএসআইএস এর কর্ম পরিকল্পনা ও স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার জন্য ডব্লিউএসআইএস এর কর্মপরিকল্পনায় বর্ণিত ছিলো। এটি এমন একটি মডেল যা পুনরায় বাস্তবায়ন করা যাবে, স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়ন করবে ও স্বার্থ সংরক্ষণ করবে, এবং প্রত্যেকের অংশগ্রহণের জন্য সুযোগ তৈরি করবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ডব্লিউএসআইএস এবং স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে অংশীজনদের প্রচেষ্টাগুলোকে সমাজের উন্নয়নে তাদের প্রতিশ্রুতি অর্জনে কাজ করবে।

জাতিসংঘের তথ্য সমাজ বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনে গৃহীত হবার মাধমে বিএনএনআরসি জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের বিশেষ উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করছে। বিএনএনআরসি-এর লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল মিডিয়ার সুবিধা ও প্রতিবন্ধকতা মাথায় রেখে জ্ঞানের বিস্তার ও সংবেদী আলোচনার মাধ্যম যাদের কথা বলার সুযোগ নেই তাদের কথা বলার উপযোগী করে তোলার মাধ্যমে কমিউনিটি রেডিওসহ গণমাধ্যমের উন্নয়ন।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বিএনএনআরসি ২০১৬ সালে এই ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার লাভ করে ২০১৭ এর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সম্মাননা লাভ করে। বিএনএনআরসি কমিউনিটি মিডিয়ার সৃষ্টিশীল চিন্তাধারা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং ব্যতিক্রমী উদ্ভাবনীর মাধ্যমে গ্রামীণ বাংলাদেশের কন্ঠহীনদের বলিষ্ঠ কন্ঠ প্রদান করতে পেরেছে।