এম এনাম হোসেন, চট্টগ্রাম: বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেছেন, আজ দেশে কোন মানুষেরজানমালের নিরাপত্তা নেই। গুম, খুন, মামলা, হামলা করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ৭২-৭৫ এর মতো বিরোধী দলীয়রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছর ২৯ মার্চ রাত্রে ছাত্রদলেরকেন্দ্রীয় নেতা নুরুল আলম নুরুকে তার বাসা থেকে পুলিশের এসআই জাবেদ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর নদীর তীরে নুরু’র লাশপাওয়া যায়, পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারকৃত একজন রাজনৈতিক নেতাকে সন্ত্রাসীরা কিভাবে হত্যা করলো, কার ইঙ্গিতে হত্যা করলোতা চট্টগ্রামবাসী জানেন। তিনি আরো বলেন, রাউজানে উম্মুক্ত ভাবে নুরুর হত্যাকারীরা ঘুরাফেরা করে, কিন্তু প্রশাসনের ভূমিকায় সাধারন জনগনব্যাপক ভাবে হতাশ । গত এক বছরেও প্রশাসন নুরু হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করার মধ্য দিয়ে প্রমান করলেন তারা এই হত্যাকাণ্ডের দায়ভারএড়াতে পারেনা। হত্যাকারীদের যতই আড়াল করার চেষ্টা করেন সময় মত নুরুর হত্যাকারী ও মদদ দাতা সকলেই আইনেরকাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, এতে কোন ভূল নাই। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক শহীদ নুরুল আলম নুরুর প্রথম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলাবিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় চত্বরে স্মরণসভায় আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন কাদেরচৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী আরো বলেন, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদাজিয়ার জামিন স্থগিত করে গণতন্ত্রের কফিনের শেষ পেরেক মারা হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ বেগম জিয়ার জামিনআদেশ দুই মাস স্থগিত করেছেন। এখনও পর্যন্ত এমন ঘটনা আর ঘটেনি, এই আদেশ সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন। অথচ এটর্নিজেনারেল নিজেই বলেছেন, খালেদা জিয়াকে দূর্নীতির অভিযোগে সাজা দেওয়া হয়নি বিশ্বাস ভঙ্গ করার জন্য এই সাজা। এইমামলায় জামিন পাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার।দেশ আজ দাদা বাবুদের ইশরায় পরিচালিত হচ্ছে। তবে সময় খুবই ঘনিয়ে আসছে, আওয়ামীলিগকে জাতির কাছে এসবের হিসাব নিকাষ কষতে হবে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামপেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান, বিএনপি নেতা শওকত আলী নুর, আলহাজ্ব সরওয়ারআলমগীর, কামরুল ইসলাম, কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, মীরসরাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাইনুদ্দিনমাহমুদ, জাকির হোসেন, নিজামুল হক তপন, জাহাঙ্গীর হোসাইন, এড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, হাজী ইলিয়াছ চৌধুরী, সৈয়দমঞ্জুরুল হক, ফজলুল কাদের, শামসুল হক, মোহাম্মদ মহসীন। বিএনপি নেতা ফিরোজ আহমেদ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নুরমোহাম্মদ, এখতিয়ার হোসেন, মোহাম্মদ হাবিব, নুরু মোহাম্মদ, এস.এম. ইউসুফ, এম. ইলিয়াছ আলী, আবু বকর সোহেল, এস.এমমহিউদ্দিন মাসুদ, মুজিবুল আলম মুজিব, দিদারুল আলম মেম্বার, ভিপি আনছুর উদ্দিন, ফোরকান চৌধুরী, একরামুল আজিম, মিয়ান রায়হানুল রাহি, রেজাউল করিম বাবু, এস.এম রাশেদুল আলম, নুরুল ইসলাম বাবুল, ইউসুফ তালুকদার, সেলিম উদ্দিন, শাহজান শাহিল, জানে আলম, মোহান্মদ মাসুদ, সাঈদ আমান রানা, মহিউদ্দিন জীবন, শাহাদাত মির্জা, সোয়েব হাসান, পিয়ারমোহাম্মদ বাবু, আরিফুল ইসলাম, মহসীন তালুকদার, ফারুকুল ইসলাম, সরওয়ার কামাল তোহা, শওকত আলী, যুবদল নেতাসাজ্জাদ বিপুল খান, জাবেদ, টিপু, রবিন, আজগর প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।