মোঃ নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সদরে যাতায়াতে প্রধান সড়কটির বেহাল দশা। ৩ কিলোমিটার পাকা সড়কের অন্তত ৬টি স্থানে যান চলাচলে অযোগ্য। গত কয়েক বছর ধরে সড়কটি যান চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়লেও কর্তৃপক্ষের নেইকোনো কার্যতব্যবস্থা। ফলে প্রতিদিন দুর্ভোগে উপজেলা পরিষদ, থানায় যাতায়তকারীসহ এ অঞ্চলের লাখও বাসিন্দা। সাতকানিয়া রাস্তার মাথা থেকে সাতকানিয়া সরকারি কলেজ পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কের একাধিক স্থানে কয়েক শত ফুটএলাকাজুড়ে বিশাল আকারে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্ত যেন কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে আছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে হেলেধুলে চলছে যানবাহন। সড়কের অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং ও ইটের খোয়া উঠে গিয়ে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের থেকে রাস্তার মাথায় কলেজ রোড়ে প্রবেশের মুখে পাকা সড়কের অংশে ৩০ ফুট আরসিসি ঢালায় হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। ঢালায়ের দু’পাশেই সৃষ্টি হওয়া গর্তে ভাঙা ইট ফেলায় কাঁদাপানিতে একাকার হয়ে আছে। ভাঙা সড়কে ভাঙা ইট যেন আরও দুর্ভোগ বাড়িয়েছে চলাচল কারীদের। আধা কিলোমিটার সামনে গেলেই হাঙ্গরমুখ প্রবেশ মুখে ছোট একটি কালবার্ট। কালবার্টের দু’পাশেই গর্ত। ঢেমশা চমুহনী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে ১শত মিটার সড়ক জুড়ে খানাখন্দে ভরা। নাপিতের চর বাজারের পশ্চিমে সড়ক যেন একাধিক পুকুর খনন করা হয়েছে। দুর থেকে এমনই মনে হয়। সড়কে সৃষ্ট পুকুর কাঁদা পানিতে সয়লাব। এতে সড়কে চলাচলরতযাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ। সাতকানিয়া দলিল লেখক আলহাজ্ব জহির উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করি। রাস্তার মাথা থেকে সাতকানিয়া সরকারি কলেজ পর্যন্ত ৩কিলোমিটার সড়কের একাধিক স্থানে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় এ অঞ্চলেরমানুষের কষ্টের শেষ নেই। এছাড়া সড়কের অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং ও ইটের খোয়া উঠে গিয়ে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। দ্রæত সড়কটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি। সাতকানিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, সড়কটির একাধিক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনে করে কলেজে আসা-যাওয়া করছি। সড়ক ভাঙা হওয়ার কারণে শরীর প্রায় সময় ব্যথা হয়েযায়। সড়কটি বেহাল দশা যেন আমার মতো হাজারও শিক্ষার্থীর দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না।