বিশেষ প্রতিবেদক :
টকবগে সাহসী যুবক পায়েল। সম্প্রতি এসআই থেকে পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। পদোন্নতি পাওয়ার পর নৌ-পুলিশের ডিআইজি ক্রাইম এলাকাখ্যাত বদরখালীতে পোস্টিং দেন সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা পায়েলকে। পায়েল যেখানে চাকরি করেছেন সেখানেই সফলতা দেখিয়েছেন। এর আগেও কক্সবাজারের মহেশখালীসহ বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত অবস্থায় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছিলেন।
জানা যায়, সম্প্রতি বদরখালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে আইসি হিসেবে যোগদান করেন পায়েল। তিনি যোগদান করার পর থেকে আতঙ্কের এলাকাটিতে শান্তির ছোঁয়া লাগিয়ে দিয়েছেন। রাত-দিন পরিশ্রম করে এলাকার সাধারণ মানুষকে শান্তিতে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নৌ-পথে আইন-শৃঙ্খলাকে অতীতের ন্যায় অনেকবেশি শৃঙ্খলিত করেছেন। পায়েলের পুলিশি এ্যাকশনে চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসী ও জলদস্যুরা এলাকাছাড়া হয়ে গেছে।
পায়েলের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যেখানে চাকরি করেছেন সেখানেই দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছেন তার সুন্দর ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ওই এলাকার জনগণের কাছে মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে বদরখালীতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। মুঠোফোনে আলাপচারিতায় পুলিশ পরিদর্শক পায়েল হোসেন বলেন, বদরখালীতে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করে প্রমাণ করে দেবো পুলিশিব্রত ও সাধারন মানুষের প্রতি ভালবাসা থাকলে অস্ত্র, মাদক, জলদস্যু ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীদেরকে স্বমূলে বিনাশ করা কোন ব্যাপার না। ইতোমধ্যে আমি যখন বিভিন্ন অপরাধীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টাসহ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি কিছু কুচক্রীমহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে। যারা ইয়াবা, জলদস্যু, অস্ত্রধারী ও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদেরকে লালন-পালন করেন তাদের কোন রক্ষা নেই। আমি কাউকে ছাড় দেবো না। এলাকার শান্ত পরিবেশকে যারা অশান্ত করে তুলবে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকার আমাকে বেতন দেয় জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। সুতরাং সাধারণ জনগণকে নিরাপদে ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। এলাকাবাসীরা জানান, খুবই একজন সৎ ও সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা পায়েল। তিনি যোগদানের পর থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন। যারা দীর্ঘদিন ধরে বদরখালীতে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করে আসছিলো তারাই শুধু ঘুমাতে পারছে না। কারণটা হলো পুলিশ কর্মকর্তা পায়েল কোন জলদস্যু সন্ত্রাসী, ইয়াবা গডফাদার ও অস্ত্রধারীদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন না।
জানা যায়, ওই এলাকাটিতে কিছু কুচক্রী মহল আছেন যারা বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। তাদের মনের মতো পুলিশ কর্মকর্তা না হলেও তাদের কথামতো কাজ না করলে তখন বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করে দেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করা ও তাদের নিজস্ব কিছু লোক দিয়ে কল্পকাহিনীর অবতারণা করাই হলো তাদের হাতিয়ার।