নুরুল করিম রাসেল, টেকনাফ:
এক মাস বিশ দিন বন্ধ থাকার পর টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বানিজ্য চালু হয়েছে। সীমান্ত বানিজ্যের আওতায় শনিবার মংডু থেকে ২০ মেট্রিক টন চাল নিয়ে একটি ট্রলার টেকনাফ স্থল বন্দরে আসে। গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বানিজ্য বন্ধ ছিল। ফলে গত মাসে টেকনাফ স্থল বন্দরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে আকিয়াবের সাথে কিছু কিছু বানিজ্য চালু ছিল।

শনিবার মংডু থেকে আসা চাউলের আমদানীকারক মেসার্স জিন্নাহ এন্ড ব্রাদার্স এর স্বত্বাধিকারী শওকত আলী সিবিএনকে জানান, দেড় মাসের বেশী সময় ধরে মংডুর সাথে বানিজ্য বন্ধ ছিল। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেওয়ার শনিবার ২০ মেট্রিক টন চালের প্রথম চালানটি টেকনাফ বন্দরে ভীড়ে। আমদানীকৃত চাল ইতিমধ্যে খালাস করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

টেকনাফ স্থল বন্দর রাজস্ব কর্মকর্তা একেএম মোশারফ হোসেন সিবিএনকে জানান, গেল সেপ্টেম্বর মাসে টেকনাফ স্থল বন্দরের রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ছিল। মংডুর সাথে পুনরায় বানিজ্য চালু হওয়ায় চলতি মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে জানান তিনি। চলতি মাসে ৭ কোটি ৪ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।

এদিকে সহিংসতা শুরুর পর আটকা পড়েছিল মিয়ানমারের ৪৪ জন মাঝিমাল্লা ও ১৩টি ট্রলার। তার মধ্যে রোববার দুপুরে ৪টি ট্রলার ও ১২ জন মাঝিমাল্লা মিয়ানমারে ফিরে গেছেন বলে জানান টেকনাফ স্থল বন্দরের ডেপুটি ম্যানেজার আনোয়ার হোসাইন। গত ২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইনের মংডু এলাকার উক্ত মাঝি-মাল্লারা পন্য নিয়ে এসে টেকনাফে আটকা পড়েছিল।

প্রসঙ্গত ১৯৯৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফ এবং মংডু টাউনশীপে পৃথকভাবে আড়ম্বরপুর্ণ অনুষ্টানের মাধ্যমে আনুষ্টানিকভাবে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত চালু হয়েছিল। যা ‘টেকনাফ-মংডু বর্ডার ট্রেড’ নামে পরিচিত এবং পরিচালিত। সেই থেকে উভয় দেশের বন্ধুসুলভ সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বাণিজ্য সম্প্রসার করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রেখে আসছে ‘টেকনাফ-মংডু বর্ডার ট্রেড’।