– মাহ্ফুজুল হক
কক্সবাজার বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের সাগর ঘেঁষা পাহাড় ঘেরা অনুপম প্রাকৃতিক লীলানিকেতন। সাগর আর পাহাড়ের স্থায়ীত্ব যতটুকু, এখানকার নুড়ি-মাটির বয়সও ততটুকু। পাহাড় ও সাগরের সহাবস্থান মানুষের স্বভাব প্রকৃতিতেও এনেছে অটল-নিশ্চলতা, হৃদয়ের বিশালতা, প্রয়োজনে ঝড়-তুফানের গতিময়তা। সাগর পাড়ের মানুষ সাধারণতঃ দুঃসাহসী এবং নির্ভীক হয়ে থাকে। পাশাপাশি পাহাড়ের অবিচলতা দুঃসাহসকে সীমায়িত করে রাখে। এখানে বসবাসরত মুসলিম, বৌদ্ধ, হিন্দু দীর্ঘদিন ধরে সুন্দর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে আসছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী তুচ্ছতম ঘটনার নজিরও এখানে নেই। পার্শ্ববর্তী দেশ বার্মায় জাপানি দখলদারী ও বৃটিশ বেনিয়া শাসনামল থেকে অদ্যাবধি ক্ষণে ক্ষণে ঘটমান নৃশংস মুসলিম নিধন (কাটাকাটি- স্থানীয় ভাষায়) এবং ভারতে বিভিন্ন ছল-ছুতায় প্রায় ঘটতে থাকা মুসলিম হত্যাকান্ড (দাঙ্গা) এখানে কোন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেনি। মানুষকে মানুষ হিসেবে গ্রহণের মানসিকতা সাগরের বিশালতা এবং হুট করে উত্তেজিত না হওয়া পাহাড়ের নিশ্চল অবিচলতার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।
কক্সবাজারের মানুষ সমুদ্র যাত্রায় অভ্যস্ত। একটি বাঁশকে যষ্ঠি বানিয়ে গভীর সমুদ্রে সাঁতরানো উপকূলীয় যুবকদের একটি আনন্দদায়ক খেলাই বটে। বাংলার সেন আমলে (১০৯৫-১২০৩ খ্রিস্টাব্দ) হিন্দুদের সমুদ্র যাত্রা নিষিদ্ধ ছিল। সমুদ্র যাত্রা করলে তাদেরকে জাতিচ্যুত করা হতো। অপরদিকে অত্র এলাকায় মুসলমানগন সাগরের মায়াবী টান এবং বাণিজ্য ব্যাপদেশে প্রায়শঃই নীল সাগর পাড়ি দিতো। আর আরবদের প্রধানতম পেশাই ছিলো নৌ-বাণিজ্য। তদুপরি ইসলাম নৌ বাণিজ্যকে উৎসাহিত করেছে। এইভাবে আরব আর বাংলার মানুষের মাঝে যোগসূত্র স্থাপিত হয়।
Arabs were the earliest people to travel to the east by sea. They were in contact with Arakan even during the pre-Islamic days. The Arakanese first received the message of Islam from the ship wrecked Arabs in 788 AD. Such ship-wrecks were occurred over and over in the coasts of Arakan and Chittagong.
Arab Muslim traders frequented Chittagong since 9th century. In 1154, Muhammad al-idrisi mentioned of a busy shipping route between Basra and Chittagong, connecting it with the Abbasid capital of Baghdad.
This Arab presence, with the message of Islam, made up the nucleus of Muslim society in Arakan. The Burmese military regime affirmed in its official book Sasana Ronwas Htunzepho, published in 1997, ‘Islam spread and deeply rooted in Arakan since 8th century from where it further spread into interior Burma.’ At first Muslims arrived on the Arakan coast and moved into the upward hinterland Maungdaw. These early Muslim settlements and the propagation of Islam were documented by Arab, Persian, European and Chinese travelers of 9th century. Burmese Muslims are descendants of Muslim peoples who settled and intermarried with the local Burmese ethnic groups. Muslims arrived in Burma as traders or settlers, military personnels and prisoners of war, refugees and as victims of slavery.
আরাকানিজরা প্রথম ইসলামের মেসেজ পান ৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে এতদাঞ্চলের উপকূলে ভেঙ্গে পড়া বাণিজ্য জাহাজের আরব বণিকদের মারফত। বার্মার সামরিক সরকার তাদের ‘সাসানা রনওয়াস তুনজেফো’ নামক সরকারি প্রকাশনা যা ১৯৯৭ সনে প্রকাশিত হয়, তাতে স্বীকার করেছে যে, অষ্টম শতকেই ইসলাম প্রসার হয়ে তার শিকড় আরাকানের গভীরে পৌঁছে যায় এবং সেখান থেকে বার্মার অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পড়ে। ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিল্জি স্থল পথে বংগ দেশে ইসলাম নিয়ে আসেন ১২০৩ সালে আর আরব বণিকেরা নৌ পথে এতদাঞ্চলে ইসলামের বিস্তার ঘটান ৮০০ সালেরও আগে। আর্যদের দ্বারা নিপীড়িত দ্রাবিড় জনগোষ্ঠী এবং বৌদ্ধরা নিরাপত্তা ও শান্তির আশায় এবং ব্যবসায়িক সুবিধার্থে দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করে। তাছাড়া হিন্দু জনগোষ্ঠী- যারা সমুদ্র যাত্রায় আকাংখী- তারা এসময় বিপুল সংখ্যায় ইসলামে দাখিল হয়। আরাকানের বিস্তৃত অঞ্চলে ইসলামের শিকড় অনেক গভীরে চলে যায়। মগ-চাকমা তথা পাহাড়ি বৌদ্ধ-আরব এবং পরবর্তীতে পাঠান-আফগান-পর্তুগীজ-ইংরেজ ভাষার শংকর রূপ চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের আঞ্চলিক ভাষার সৃষ্টি হয়। স্মর্তব্য, কক্সবাজারে প্রচলিত ভাষার অধিকাংশ শব্দই আরবী, ফার্সী আর উর্দু। পরবর্তীতে আরাকানে মুসলিম রাজত্ব, মোঘল আমলে স্বাধীন সুলতানী কর্তৃত্ব অত্র এলাকায় ইসলামের ভিত্তিকে আরও মজবুতি দিয়েছে। ‘The Arab influence increased to such a large extent in Chittagong during mid 10th century AD that a small Muslim kingdom was established in this region, and the ruler of the kingdom was called Sultan. Possibly the area from the east bank of the Meghna river to the Naf was under this Sultan.’ ১০ম শতাব্দীর মাঝামাঝিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলে আরব প্রভাব এতো বেড়ে গিয়েছিলে যে, অত্রাঞ্চলে ছোট-খাটো এক মুসলিম সা¤্রাজ্য প্রতিষ্ঠা হয়ে গিয়েছিলো যার শাসকেরা সুলতান নামে অভিহিত হতেন। ওই সুলতানের অধীনস্থ সা¤্রাজ্যের এলাকা সম্ভবতঃ মেঘনা নদীর পূর্ব পাড় থেকে নাফ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো।
Islam developed slowly but surely in natural way. After the advent of Muslim rule in Bengal in 1203, the Muslim population of Arakan increased. Their number grew fast during the Mrauk-U dynasty. There was large scale conversion of Buddhists to Islam during 15th to 18th centuries.
দৈহিক আকৃতি, রক্তের গ্রুপ, নাক-মুখ-চোখ প্রভৃতির গঠন, চুল-দাড়ির ঘনত্ব প্রভৃতির ক্ষেত্রে কক্সবাজারবাসী মুসলমানের আরব-তুর্কী-ফার্সি-আফগানীদের সাথে প্রচুর সাদৃশ্য রয়েছে। অধিক প্রজনন ক্ষমতা, একাধিক বিবাহ, বিধবা বিবাহ ; উন্নতমানের আমিষ খাদ্য গ্রহণ ; নামের সাথে শেখ, জনাব, হযরত, সাহেব, মাওলানা প্রভৃতি উপাধি ; পাজামা-পাঞ্জাবি, পাগড়ি-টুপি, ইয়েমেনীদের অনুরূপ লুঙ্গি, সেলোয়ার-কামিজ, দোপাট্টা-বোরকা প্রভৃতি পোশাক-পরিচ্ছদ ; পোলাউ-কোর্মা, কোপ্তা-কাবাব ইত্যাদি খাবার ; প্রায় প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জের অলি-গলিতে মসজিদের অবস্থান ; অলি-আউলিয়াগনের মাজার ; প্রত্যহ পাঁচবার আজান ধ্বনি ; মসজিদসমূহে মুসল্লিদের সমাবেশ ; প্রতিনিয়ত ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল ; মাদ্রাসা-মক্তব তথা দ্বীনি শিক্ষা কেন্দ্রের প্রাচূর্য ; বিবাহ-শাদী, ফাতেহা উৎসব, জন্ম-মৃত্যুর আনুষ্ঠানিকতা, ঈদ-রোজা প্রভৃতি কার্যক্রম ; পুঁথি-জারি, কবিতা-গান-প্রবন্ধে কারবালা, বদর, উহুদ, ইউছুফ-জোলায়খা ইত্যাদির আধিক্য ; জেলে-মাঝিদের ’বদর বদর’ ধ্বনি ; শক্তি প্রয়োগকালে ’ইয়া আলী’ শব্দ ; আস্সালামু আলাইকুম বলে সম্বোধন ; নকশা খচিত কারুকাজ ; আরবী বর্ণমালা প্রীতি ; কুরআন-হাদীসের ব্যাপক কদর ; মুসলিম মনীষীদের নামের প্রতি আলাদা মহব্বত প্রভৃতি ক্ষেত্রে কক্সবাজারবাসীদের মাঝে ইসলামের স্বকীয়তা পরিস্ফুট। (দেওয়ান ফজলে রাব্বি রচিত ‘অরিজিন অব দ্যা মুসলমান্স অব বেঙ্গল’)
ইসলাম বিদ্বেষী শক্তি কোন কালেই এখানে বীর বিক্রমে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। এলাকার মুরুব্বীদের স্থানীয় জনগনকে উদ্বুদ্ধ করে কুকর্মের বিরুদ্ধে নিত্য প্রতিরোধ গড়ে তোলা এখানকার অন্যতম বৈশিষ্ট। সাধারণ জনতা এক কথায় ইসলামের চেতনাবোধে উজ্জীবিত এবং ইসলাম বিরোধী শক্তির মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত। এর প্রমাণ জনগণ বহুবার দিয়েছে। এ কারণেই বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার মত কক্সবাজারে বামপন্থী রাজনীতি শক্ত ভিত রচনা করতে পারেনি। কট্টর ইসলাম বিরোধী নেতাও প্রকাশ্যে ইসলামের প্রতি কটাক্ষপাত করার সাহস এখানে রাখে না। ইসলামের জন্য অকাতরে নিজেদের জীবন দান করার বহু নজির এখানে রয়েছে।
তৎকালীণ আরাকানের অংশ কক্সবাজারকে বাংলাদেশের ‘বা’বুল ইসলাম’ باب الا سلام অর্থাৎ ইসলামের প্রবেশ দ্বার এই কারণেই বলা হয়ে থাকে যে, এ পথেই ইসলাম এতদাঞ্চলে প্রথম প্রবেশ করে এবং উপকূলের বিপুল জনসমষ্টির মাঝে দারুণ প্রভাব বিস্তার করে। আরাকান রাজসভার সভাকবি দৌলত কাজী (১৬১২-১৬২২) তাঁর রচিত ‘সতী ময়না’ কাব্যে লেখেন –
কর্ণফুলী নদী পূর্ব্বে আছে এক পুরী ।
রোসাঙ্গ নগরী নাম স্বর্গ অবতরী ॥
খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকের প্রারম্ভে আরাকানে মুসলিম আরব বণিকদের আগমন শুরু হয়। উইকিপিডিয়া লিখছে, In the early Bagan era (AD 652-660) Arab Muslim merchants landed at the ports such as Thaton, Martaban etc. Arab Muslim ships sailed from Madagascan island to China and they used to go in and out of Burma. Arab travelers visited the Andaman islands in the Bay of Bengal south of Burma. The sea ports of Burma … are rife with legendary accounts of early shipwrecks in their neighbourhood. The Muslims arrived in Burma’s Ayeyarwady river delta, on the Tanintharyi coast and in Rakhine in the 9th century, prior to establishment of the first Burmese empire in 1055 AD by king Anawratha of Bagan. However, many early Muslims also as saying goes held positions of status as royal advisers, royal administrators, port authorities, mayors, and traditional medicine men.
১৩৪৬ সনে বিখ্যাত পরিব্রাজক ইবনে বতুতা আরাকানে অনেক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার দেখেন। নরমিখলা ওরফে সোলায়মান শাহের শাসনামলে আরাকানে মুসলিম আগমনের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। তখন মুসলিম প্রভাব এত বেশী ছিল যে, আরাকান নৃপতিগণ তাদের দেশীয় নামের সঙ্গে মুসলিম পদবী যোগ করতেন। তাদের রাজসভা মুসলিম কবিদের পদচারণায় মুখর থাকত। মহাকবি আলাওল (১৫৪৫-১৫৫২) তাঁর রচিত ‘পদ্মাবতী’ কাব্যে লেখেন –
বহু বহু মুসলমান রোসাঙ্গে বৈসন্ত।
সদাচারী কুলীন পন্ডিত গুণবন্ত ॥
According to court poet Shah Aloal, ‘The Muslim population of Arakan consisted roughly of four categories, namely, the Bengalee, other Indian, Afro-Asian and native. Among these four categories of the Muslims the Bengalee Muslims formed the largest part of the total Muslim population of Arakan.’
খ্রিস্টীয় ৮ম শতক থেকে আরম্ভ করে দীর্ঘ ১৭০০ সনের মাঝামাঝি পর্যন্ত (মাঝে ১০০ বছর গৌড়ীয় রাজত্বের অধীনকাল ব্যতীত (১৪৩০-১৫৩০) প্রায় ৯০০ বছরব্যাপী রোসাঙ্গ রাজ তার ইসলামী ভাবধারা সমেত বহাল তবিয়তে থেকে শাসন কার্য চালিয়ে যায়। কর্ণফুলী নদীর পূর্বাংশ থেকে শুরু করে মান্দালয়ের প্রান্তসীমা পর্যন্ত পূর্বে পাহাড়কে সীমান্ত বানিয়ে বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষা উত্তর-দক্ষিণ লম্বালম্বী এই দেশটি (আমাদের আজকের কক্সবাজার জেলাও তার অন্তর্ভূক্ত) প্রায় এক হাজার বছর ধরে তার স্বীয় শৌর্য-বীর্য ও স্বকীয়তা নিয়ে বহাল থাকে। উত্তরে চট্টগ্রাম (জেলা) থেকে শুরু করে কক্সবাজার জেলা হয়ে আরো দক্ষিণে সিটওয়ে বা আকিয়াব পার হয়ে মান্দালয়ের সীমা পর্যন্ত এই বিস্তৃত অঞ্চলই ছিলো রোসাঙ্গ। উল্লিখিত অঞ্চলের জনগনের ভাষা এক ও অভিন্ন যা চাঁটগাইয়া বা রোয়াং ভাষা নামে পরিচিত। বাংলা ভাষা থেকে এটি কিছুটা ভিন্ন। বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার জনগন এ ভাষা খুব একটা বুঝতে ও বলতে পারেন না। অথচ আমরা সুদূর আকিয়াব বা তারও দক্ষিণের যে কোন রোহিঙ্গার ভাষা বলতে ও বুঝতে পারি। ইতিহাস খ্যাত আরাকানের স্মৃতি অদ্যাবধি বহন করছে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি ‘আরাকান সড়ক’ নাম ধারণ করে।
There were nine Arakan kings with Muslim titles. Later the governor of Bengal, Shayista Khan, attacked and took back the Arakan’s Chittagong, Ramu, East Bengal, Sandwip, Dianga and up to the Naff river was annexed to Bengal. (1680 AD)
এদেশে ইসলামের প্রবেশদ্বার ‘বা’বুল ইসলাম’ তথা কক্সবাজার ও কক্সবাজারবাসীর আবহমান কালের ঐতিহ্য, চিন্তা-চেতনা, ইতিহাস-মূল্যবোধের মাধ্যম হলো আল ইসলাম। জনগণ ইসলামের সাথে এতবেশী সম্পৃক্ত যে, এর থেকে আলাদা করার কোন উপায় নেই। এখানকার মাটি, আলো-বাতাস, সাগর-পাহাড়-বেলাভূমি, নদ-নদী, গাছ-পালা, জন্তু-জানোয়ার তথা প্রকৃতির নৈসর্গ এবং মানব জনগোষ্ঠী আর ইসলাম একাকার। ‘বা’বুল ইসলাম’ তথা অত্রাঞ্চলের মানুষ ইসলামের দ্বারা অভিষিক্ত, ইসলামের জন্য নিবেদিত, ইসলামের আলোয় আলোকিত, উদ্ভাসিত। ইসলামই আমাদের ঐতিহ্য, ইসলামই আমাদের কৃষ্টি, ইসলামই আমাদের অতীত, ইসলামই আমাদের বর্তমান, ইসলামই আমাদের ভবিষ্যত।
সেল : ০১৮৬৯ ৮৬৬৯০০
কক্সবাজার
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।