নুরুল আমিন হেলালী:

কক্সবাজার সদরের অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী ঈদগাঁও বাজারের সড়ক ও উপসড়ক গুলি দিন দিন অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে। এই বাজার পর্যটন শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত উপশহর হিসেবে খ্যাত হওয়া সত্বেও নোংরা ও ময়লা আবর্জনার স্তুপের ভারী দূর্গন্ধে পরিবেশ দুষিত হয়ে পড়েছে। বাজারবাসীর অসচেতনতা ও সুষ্ঠু তদারকির অভাবে বাজারটি প্রতিনিয়তই অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়েছে। একই সাথে অবৈধভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে ডিসি সড়কসহ অভ্যন্তরীন উপ-সড়কের দূ-পাশ। ফলে ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ। এক সময়ের নির্মল পরিবেশ বান্ধব এই বাজারটি এভাবে নোংরা ও অবৈধভাবে দখল হতে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ থাকায় জনমনে বাড়াছে ক্ষোভ।

সম্প্রতি বাজারের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ব্যবসায়ী ও বাসাবাড়িতে বসবাসকারীরা প্রকাশ্যেই প্রধান সড়কসহ বাজার অভ্যন্তরীন অলি-গলিতে দোকান ও বাসা-বাড়ির ময়লা আবর্জনা ফেলছে রাস্তার উপর। রাস্তার উপর ফেলা এ আবর্জনার মধ্যে রয়েছে পঁচা তরকারি, মাছের ময়লা, পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতিকর নিষিদ্ধ পলিথিন, ব্যবহার অনুপযোগী ও ফেলনা প্লাস্টিক সামগ্রী। রাস্তার উপর ময়লা আবর্জনার স্তুপ থাকায় বেগ পেতে হচ্ছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষার্থী, বাজারবাসীসহ সওদা করতে আসা লোকজনের। মাতব্বর মার্কেটের সম্মুখে দেখা যায় বিশালাকার ময়লা আবর্জনা স্তুপ। যেখানে প্রতিনিয়ত দূর্গন্ধ বের হচ্ছে। এছাড়া বাজারের দক্ষিণ পাশে জীপ ষ্টেশনের সামনে ও ভূমি অফিসের সামনের অবস্থা আরও নাজুক। বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে অনেক আগেই। ভূমি অফিসের কর্তা বাবুরা প্রতিদিন সেবা প্রার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন টাল বাহানায় উৎকোচ নিয়ে পকেট ভারী করলেও তাদের নাকের ডগায় সামান্য টাকা খরচ করে ড্রেনের উপর একটি স্লেপ বসিয়ে না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে ভূমি অফিসে যাতায়াতকারী ভুক্তভোগীরা।

সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নুরুল আবছার ও ব্যবসায়ী হামিদ হোসেন জানান, বাজার ব্যবস্থাপনায় কার্যকরি কমিটি না থাকায় কক্সবাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এই বাজারের বেহাল দশা।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নোমান হোসেন জানান, কক্সবাজারের জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাঁও বাজারের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।