মো: আকতার হোছাইন কুতুবী:
পড়ালেখার প্রতি মনোনিবেশ হলে, নিজের ধ্যান-জ্ঞানকে সঠিকভাবে কাজে লাগালে কৃতিত্বের শিখরে পৌঁছা যায়। নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগাতে হবে নিজের ইচ্ছায়। পাশাপাশি পিতা-মাতারা দায়িত্বের সহিত দেখভাল করলে সন্তানরা একদিন দেশের যোগ্য নাগরিক হয়ে দেশ-জাতি মা মাতৃকার মঙ্গল বয়ে আনতে পারে। পৃথিবীর যে যত বড় মানুষ উচ্চাসনে আসীন হয়েছে সবই তার নিজের মেধাকে বিকশিত করে। ইচ্ছা থাকলে আসলেই সবকিছুই সম্ভব। তেমনি একজন মেধাবী ছাত্রী ফারিহা তাহসিন। তিনি সম্প্রতি কৃতিত্বের সাথে স্থাপত্য স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
কক্সবাজারে জন্ম নেয়া ফারিহা তাহসিন শহরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ শহীদ তিতুমীর ইনস্টিটিউট থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন। কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদালয় থেকে ৮ম শ্রেণিতেও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন। এসএসসিতে একই বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। মেধাবী ফারিহা তাহসিন চট্টগ্রাম মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে ট্যালেন্টপুলে স্কলারশিপ পেয়ে প্রশংসিত হন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক থেকে স্থাপত্য বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ইন্টার্নশীপ শেষ করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ফারিহা তাহসিন কুতুবদিয়ার জমিদার মরহুম এরশাদ আলী মাতবরের নাতনি। তার বাবা পুরোদমে একজন একাধারে সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও জনপ্রতিনিধি। এ ব্যাপারে ফারিহা তাহসিনের বাবা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার অন্যতম সহ-সভাপতি, কুতুবদিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, সাবেক জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, কুতুবদিয়া-মহেশখালী থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী, বর্তমানে কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জননেতা এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন, রাজনীতি করি জনগণের জন্য। বেশি কিছু চাওয়া-পাওয়ার নাই। একমাত্র কন্যা ও দুই পুত্র ফাহিম এবং ফারদিনকে মানুষের মতো মানুষ করাই একমাত্র আমার আকাক্সক্ষা। কৃতিত্বের সাথে স্থাপত্য বিভাগে স্নাতকে উত্তীর্ণ ফারিহা তাহসিনের মা তসলিমা চৌধুরী সেলি একজন গৃহীনি। ছেলেমেয়েদের দেখভাল করায় তার একমাত্র কাজ। ফারিহা তাহসিনের নানা লোহাগাড়ার বিশিষ্ট জমিদার মরহুম আলহাজ্ব মিয়া জয়নাল আবেদীন চৌধুরী ছিলেন তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য ও লোহাগাড়া পুটিবিলা ইউনিয়নের একাধারে ৩৭ বছর বৎসর চেয়ারম্যান। ফারিহার নানা চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার নানি মরিয়ম বেগম চৌধুরীও পরপর দু’বার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার এই কৃতিত্বের জন্য কুতুবদিয়াবাসী ও সকল কলমসৈনিকদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় ম্যাগাজিন জনতার কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক, জাতির আলো’র উপদেষ্টা সম্পাদক, জাতীয় দৈনিক আমার কাগজ ও দি গুড মর্নিং পত্রিকার সহ-সম্পাদক মো: আকতার হোছাইন কুতুবী, জাতীয় ম্যাগাজিন জাতির আলো’র চট্টগ্রাম-কক্সবাজরের অফিস প্রধান মোহাম্মদ আলমগীর, জাতীয় ম্যাগাজিন জনতার কণ্ঠের কক্সবাজার অফিস প্রধান ও জাতীয় দৈনিক এশিয়া বাণীর কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি মো: আবু সায়েম, কক্সবাজার ব্যুরো অফিসের প্রধান কম্পিউটার অপারেটর ও ডিজাইনার চিংসাউ মারমা বাবুসহ ব্যুরো অফিসের সকল প্রতিনিধি ও কর্মচারী।