হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :

জোরপুর্বক জমি জবর দখল করতে সাড়ে ৭ হাজার গাছের চারা কেটে বাগান ধ্বংস করে দিয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শীলখালী হলবনিয়া মিয়া পাড়ায় ঘটেছে জঘন্য এঘটনা। ২৫ অক্টোবর বিকালে এ ব্যাপারে উক্ত এলাকার মৃত শামসুল আলমে পুত্র জাতীয় শ্রমিক লীগ বাহারছড়া ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে ৭ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৫ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন মৃত আবুল কাসেমের পুত্র শামসুল আলম (৪০), জালাল আহমদ (৩৫), ছৈয়দ হোসেন প্রকাশ কালু ডাকাত (৩০), জাফর আলমের পুত্র বদিউর রহমান (৩০), ফজল করিমের পুত্র হোছন (২৫), লাল মিয়ার পুত্র নুর মোহাম্মদ (২৮), আবদুল করিমের পুত্র হোসেন (৩২)। টেকনাফ মডেল থানা থেকে অভিযোগটি তদন্ত করতে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বন বিভাগের পতিত ৩৫ একর জমিতে সামাজিক তুলা বাগান করার জন্য গত বছর ১১ হাজার তুলা গাছের চারা রোপন করা হয়েছিল। পরিচর্যা করায় চারাগুলো বেশ বড় হয়েছে। অভিযুক্তরা উক্ত জমি জবর দখল করতে প্রায় সময় হুমকি দিত। ২৪ অক্টোবর বিকালে অভিযুক্তরা উক্ত জমি জবর দখল করতে দা ও কিরিচ নিয়ে দলবদ্ধ ভাবে গিয়ে প্রায় ৭ হাজার ৫০০টি কচি চারা কেটে ফেলে। হামলার ভয়ে ভোগ দখলীয়রা বাধা দিতে পারেনি।

এদিকে অভিযুক্তদের কেটে দেয়া বেশ কিছু পরিমাণ চারা নিয়ে বুধবার ২৫ অক্টোবর দুপুরে জাতীয় শ্রমিক লীগ বাহারছড়া ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি নজরুল ইসলাম টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহমদের কার্যালয়ে হাজির হন। সাবেক মেম্বার অছিউর রহমান, বর্তমান মেম্বার সোনা আলীসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা চেয়ারম্যানসহ উপস্থিত সকলে সবুজ বাগানের কচি চারা নির্মমভাবে কেটে ফেলা দেখে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

নজরুল ইসলাম বলেন ‘জাতীয় শ্রমিক লীগের নামে এলাকার ৩৭ জন সদস্য সামাজিক বাগান করার জন্য এক বছর আগে বন বিভাগের পতিত ৩৫ একর জমিতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ১১ হাজার তুলা গাছের চারা রোপন করেছিলাম। এর মধ্যে অভিযুক্তরা প্রায় ৭ হাজার ৫০০টি কচি চারা কেটে ফেলেছে। এতে আমাদের ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে’। ##