ইমাম খাইর, সিবিএন:
কক্সবাজারে কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালিত হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের আয়োজনে শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৯টায় সমূদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে বর্ণাঢ্য র্যালীটি সাগর পাশ দিয়ে লাবনী পয়েন্ট সংলগ্ন ট্যুরিস্ট পুলিশ কার্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার (এসপি) জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে র্যালীতে ট্যুর অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন, টুয়াক, কটেজ ব্যবসায়ী সমিতি, ফটোগ্রাফার সমিতিসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ গ্রহণ করে। র্যালী শেষে ট্যুরিস্ট পুলিশের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্যুরিস্ট) খন্দকার ফজলে রাব্বি, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী, ট্যুর অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশনের (রেজি নং-২৮৩৫) সভাপতি এম রেজাউল করিম রেজা, যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান মিলকী, টুয়াকের আহবায়ক এম হাসিব বাদল, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম কিবরিয়া খাঁনসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান বলেন, কক্সবাজার সমূদ্র সৈকতের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে কক্সবাজার পরিচিত। কক্সবাজার সমূদ্র সৈকতসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর আইন শৃঙ্খলা ও সৌন্দয্য রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি বলেন, কক্সবাজার নিয়ে কোন ধরণের নেতিবাচক রিপোর্ট নয়। ইতিবাচক মনোভব নিয়ে পর্যটন নগরীকে এগিয়ে নিতে হবে।পর্যটন শিল্প আমাদের ধরে রাখতে হবে।
সভায় পর্যটন মৌসুমে নাম সর্বস্ব ট্যুর অপারেটর সংগঠনগুলোকে পর্যটক হয়রানীর জন্য দায়ী করা হয়। আগামী মৌসুমে তাদের ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর নীতি প্রয়োগ করার সতর্ক বার্তা দেন ট্যুুরস্ট পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের কার্যক্রম শুরু হয়। এবার প্রথম তারা কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালন করেছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।