বার্তা পরিবেশক :

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের ১০ বছর পুর্তি উপলক্ষে ০১ নভেম্বর, ২০১৭ ইং  জেলা জজশীপ ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সকল বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটগণ এক আলোচনা সভায় মিলিত হন। সভায় বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার বিভিন্ন প্রক্রিয়া সহজতর করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

কক্সবাজার জেলার জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলার সকল পর্যায়ের আদালত সমূহের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের উদ্দেশ্য সফলকল্পে জেলার সকল বিচারকগণকে কর্ম দিবসের পূর্ণাঙ্গ সময় বিচারকার্যে ব্যবহার করতঃ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার কর্মের সুফল বিচার প্রার্থী জনগনকে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান। সভায় উপস্থিত জেলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ বলেন- জেলার ৩টি চৌকি আদালতে বর্তমানে পূর্ণকালীন সময়ের জন্য সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত থাকায় বিচারপ্রার্থী জনগণকে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রতিকার প্রদান সহজতর হচ্ছে; তিনি জেলার সকল বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটগণকে বিচারকর্মের মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের ধারণাকে অর্থবহ করে তোলার আহ্বান জানান।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ্’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত “বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের এক বছর ঃ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে জেলা জজ আদালতে কর্মরত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওসমান গণি, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সালমা খাতুন, সৈয়দ মোহাম্মদ ফখরুল আবেদীন, সিনিয়র সহকারী জজ আলাউল আকবর, খাইরুননেছা, সহকারী জজ মোছাম্মৎ নুসরাত জামান এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মাদ মোশাররফ হোসাইন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার দেব এবং জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসির সিনিয়র সহায়ক কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উক্ত সভায় উপস্থিত থেকে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ও জেলা জি,পি মুহাম্মদ ইসহাক। সভায় বিজ্ঞ বিচারকগণ নিজ নিজ অবস্থানে থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের যে প্রত্যাশা জনগণের মানসপটে ছিল তা বাস্তবে রূপদানের অঙ্গীকার পুণঃব্যক্ত করেন।