সাইফুল্লাহ সাদেক :
দেশে যেকোনো মুহূর্তে গণঅভ্যুত্থান হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার বিকেলে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দেশে যেকোনো মুহূর্তে গণঅভ্যুত্থান ঘটতে পারে। ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-নেতারা সরকারি গাড়িতে চড়ে শরীরে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কারণে জনগণের মনের অবস্থা বুঝতে অক্ষম। জনগণের ঢল যেকোনো মূহূর্তেই জনধিকৃত সরকারের মসনদকে উল্টে দিতে পারে, সেটি অনুধাবন করতে ব্যর্থ মন্ত্রীরা।

‘ক্ষমতার ঝাড়বাতির আলোয় মন্ত্রীদের চোখ এখন ঝাপসা হয়ে গেছে। ঠান্ডা ঘরে পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে বসে থেকে বয়ে যাওয়া গণবিক্ষোভের জোরালো বাতাস গায়ে না লাগাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশ এখন অগ্নিগর্ভ”

রিজভী অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক কোন কর্মসূচি না থাকলেও বিএনপির সাম্প্রতিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে মানুষের ঢল দেখে ভীত হয়ে আবার দেশব্যাপী গণগ্রেফতার শুরু করেছে ভোটারবিহীন সরকার। প্রতিদিন কোনও না কোনও জেলায় কিংবা উপজেলায় মামলা ছাড়াই নেতা-কর্মীদের আটক করে পরে মিথ্যা মামলা দায়ের করে নেতা-কর্মীদের কারাগারে প্রেরণের হিড়িক চলছে। সত্যিকার অর্থে বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ জনগণ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য কর্মসূচি ৮ নভের থেকে পিছিয়ে ১১ নভেম্বর শনিবার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সেদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি’র উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।

আগারগাঁওয়ে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনের কারণে ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করার অনুমতি পায়নি বিএনপি। কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের পরে যেকোন দিন সমাবেশ করার অনুমতি চাইলে করা সম্ভব বলে জানিয়েছে ডিএমপি।