মুহাম্মদ হোসাইন:
কক্সবাজার ইনানী সমুদ্র সৈকতে বীচবাইকের বেপরোয়া চলাচল ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে অতিষ্ট হয়ে ট্যুরিষ্ট পুলিশকে লিখিত নালিশ দিলো এক পর্যটক।
সৈকতে নিয়োজিত ট্যুরিষ্ট পুলিশ ও বীচকর্মীদের সুত্রে জানা যায়,গত ৫ নভেম্বর বগুড়ার জাহেদ নামের এক পর্যটক ইনানী সৈকতে ঘুরতে আসেন।
সে বিনোদনের মানসে একটি বীচবাইক ভাড়া করেন পাঁচ রাউন্ডের জন্য ২৫০ টাকা দিয়ে তবে বীচবাইক চালক মাত্র ১ রাউন্ড দিয়ে পুরো টাকাটা দাবি করলে তখন উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
একপর্যায়ে এই সমস্যার প্রতিকার চেয়ে তিনি সৈকতে নিয়োজিত ট্যুরিষ্ট পুলিশের নিকট একটি
অভিযোগ আকারে বিবরণ পেশ করেন।
পর্যটক জাহিদ মোবাইলে জানায়,ইনানী সৈকতে ঘুরতে এসে বীচ চালকদের অনৈতিক ভাড়া দাবির কারনে খুব লজ্জাকর একটি বাগযুদ্ধের সম্মুখিন হয়েছি।
আসলে এ বিষয় গুলোর দিকে প্রশাসনের সু-নজর দেওয়া জরুরি।
পরে আমি অবশ্যই পুলিশকে জানিয়ে মিটমাট করেছি।
স্থানীয় বীচ ব্যবসায়ীরা বলেন, এসব বীচ বাইক গুলো এতো বেশি বেপরোয়া গতিতে চলাচল করেন প্রতিটি পর্যটন মৌসুমে একজন-দুইজন মারা যাচ্ছে।
এমনকি বীচবাইক চালকরা পেশাদার না হওয়ায় মাসে দশ-বারোজন পর্যটক আহত ও পঙ্গু হয়ে পড়ছে।
যারফলে আমাদেরও স্বাভাবিক ব্যবসা ব্যাহত হচ্ছে।
এ ছাড়াও সাগরের লাল কাঁকড়া মারা পড়ছে প্রতিনিয়ত যার দরুণ জীববৈচিত্র হুমকির মুখে চলে যাচ্ছে।
রশিদ নামের আরেক ব্যবসয়ী বলেন, বীচবাইক চালকরা সিন্ডিকেট করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
সাবেক উখিয়া উপজেলার ইউএনও মাঈন উদ্দিন থাকতে একটা নিয়ম ছিলো সৈকতের দক্ষিণাংশে চলাচল করবে কিন্তু এখন তারা বীচে নামার প্রধান ফটকে ব্লক করে অবস্থান করায় সৈকতের সৌন্দর্য্য ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
কেউ সাগরে নামলে বীচবাইকের দৌড়াদৌড়িতে আহত হওয়ার ভয়ে কেউ সহজে পায়চারি করতে চায়না।
এ বিষয়ে সৈকতে নিয়োজিত বীচকর্মী বেলাল বলেন, বীচবাইক চালকরা বেপরোয়া গতিতে চললে আমরা প্রশাসনের লোকজন নিষেধ করলেও দায়হীনভাবে চলতে চেষ্টা করে।
তবে এদের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইনানী সৈকতের সমস্ত ব্যবসায়ীরা মিলে অভিযোগপত্র দিয়েছে।
এই কারণে বীচবাইক চালকরা আমাদের বিরুদ্ধে
সাংবাদিকদের ভুল-তথ্য দিচ্ছে।
গত ৭ নভেম্বর কক্সবাজারের স্থানীয় দৈনিক আজকের দেশবিদেশ পত্রিকায় ইনানী সৈকতে ইজিবাইক থেকে বীচ কর্মীরা ৫০ টাকা চাঁদা আদায় করে বলে এই সিন্ডকেটরা মিলে সংবাদ পরিবেশন করায় অথচ আজ পর্যন্ত কোনদিন সৈকতে ইজিবাইক চলে বলেও কেউ জানেনা ইজিবাইক মানেতো টমটম গাড়ি বলে জানি।
বীচবাইক চালকরা এমন মিথ্যা তথ্যদিয়ে সৈকতকের সুন্দর পরিবেশকে নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে লাগছে।
এ বিষয়ে জানতে ইনানী সৈকতের ট্যুরিষ্ট পুলিশের ইনচার্জ মোহাব্বত খান জানান, জাহেদ নামের পর্যটকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি বিষয়টি নিজেই সুরাহা করেছি।
তবে আমি সম্প্রতি থাইল্যান্ডে থাকাকালীন সময়ে সাবেক ইউএনও মাঈন উদ্দিন স্যারের নীতিমালাকে অবহেলা করেছিলো তবে এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।