শাহিদ মোস্তফা শাহিদ/এইচ. এম. রুস্তম আলী, ঈদগাঁও:

রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নে শালিসে ডাকতে গিয়ে ৩ চৌকিদারসহ গুরুতর আহত হয়েছে ৪ জন। ৯ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে ইউনিয়নের পূর্ব খাদেমর পাড়া ফিল্ডের মুরার দক্ষিণ পূর্ব পাশের্^। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, একই এলাকার শাহ আলমের পুত্র জাকির হোছাইনের মালিকানাধীন ভিটে বাড়িতে তার অনুপস্থিতিতে গত ১ বছর পূর্বে অনধিকারভাবে পশ্চিম খাদেমর পাড়ার হাজী মোক্তার আহমদের পুত্র শামসুল আলম ও তার স্বপরিবার ঢুকে পড়ে। বিষয়টি সৌদি আরবে অবস্থানরত জাকির হোসেনের নজরে আসলে তার পক্ষে শ^শুর মোক্তার আহমদ বাদী হয়ে রশিদ নগর ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয় নারী ও পুরুষ সদস্য, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে কয়েকবার শালিসও হয়। উক্ত শালিসে জাকির হোসেনকে বসতভিটা ফিরিয়ে দেওয়ার রায় প্রদান করেন চেয়ারম্যান। দীর্ঘদিন ফেরত না দেওয়ায় ঘটনার দিন পুনরায় শামসুল আলমকে ডেকে আনার জন্য ৩জন চৌকিদারকে পাঠালে উত্তেজিত হয়ে শামসুল আলমের স্ত্রী রুবি আক্তার ও তার স্বজনরা দফাদার ছৈয়দ নুর, মোতাহের, জসিম উদ্দীনকে উপর্যুপরী হামলা ও মারধর করে। এতে দফাদার ছৈয়দ নুরের একটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয় বলে জানান স্থানীয় মেম্বার আবদুর রহমান। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য বসতঘরে আগুন দিয়ে চৌকিদার-দফাদারকে ফাঁসানোর জন্য ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের কু-প্ররোচনায় অপচেষ্টা চালাচ্ছে শামসুল আলম ও তার স্ত্রী। এমনকি রুবি আক্তারকে মারধর করেছে মর্মে হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম, মহিলা মেম্বার সালমা আক্তার, মেম্বার আবদুল খালেক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম চৌকিদার আহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযোগ উঠা শামসুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি চৌকিদার-দফাদার দিয়ে তার বসতঘরে হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন।