ডেস্ক নিউজ:

জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রে মত ও পথের পার্থক্য থাকবে। কিন্তু দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে এক হতে হবে।
বিএনপি নেত্রী বলেন, আমরা জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছি, আসুন। বহুদলীয় গণতন্ত্রে বহু মত ও পথের পার্থক্য থাকবে, কিন্তু দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে এক হতে হবে। এই কাজ করলেই জনগণের কল্যাণ, দেশের উন্নতি করা সম্ভব।

আজ রোববার রাজধানীর সোহাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বেগম জিয়া বলেন, তারা জনগণের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। যেই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবে তাকে হয় উঠিয়ে নেওয়া হবে আর না হয় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ঠুকে দেওয়া হবে।
জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর আমরা জনসভা করছি। আপনারা জানেন, ৭ নভেম্বর আমরা সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তা সরকার দেয়নি।
আজ জনসভার অনুমতি সরকার দিলেও এটি যেনো সফল না হয় তার জন্য নানা রকমের বাধা সৃষ্টি করেছে। যার কারণে জনগণকে অনেক কষ্ট করে আসতে হয়েছে।
সমস্ত পাবলিক পরিবহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বেগম জিয়া। এমনকি সমাবেশে পৌঁছাতে যাতে না পারি সেজন্য আমার রাস্তাও বাস দিয়ে আটকে রাখা হয় বলেও মন্তব্য করেন বেগম জিয়া।
খালেদা জিয়া বলেন, আজকে ঘরে ঘরে মানুষের কান্না আর আহাজারি। মানুষ আজকে অত্যাচারিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত। তাই এদের হাত থেকে মানুষ মুক্তি চায়। মানুষ পরিবর্তন চায়। মানুষ পরিবর্তন চায়। এই পরিবর্তন আমরা বলি আসতে হবে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে, ভোটের মধ্য দিয়ে আসতে হবে। এই জন্য মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন।
খালেদা জিয়া বলেন, সাত নভেম্বরকে আওয়ামী লীগ ভাই। আর কি ভয় পায় জানেন? এই জনগণকে আওয়ামী লীগ ভয় পায়, আপনাদের ভয় পায়। এজন্যই তারা জনসভা করতে দেয় না। বিভিন্ন জায়গায় গেলে বাধা সৃষ্টি করে। আমাদের ছেলেপেলেদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে। মিথ্যে মামলা দিয়ে জেলখানায় বন্দি করছে।’ তিনি বলেন, ‘জনসভার অনুমতি তারা দিয়েছে। কিন্তু জনসভা যাতে সফল না হয়, জনগণ যাতে আসতে না পারে সেজন্য কত রকমের বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে।
এর আগে আজ রোববার বেলা ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছেন তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছালে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে সমাবেশস্থল। দুপুর ২টার পর গুলশানের ‘ফিরোজা’ বাসা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে রওনা দেন।