বিশেষ প্রতিনিধি:

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশের ৬৪ উপজেলায় সেকায়েপের কার্যক্রম চলছে। সেকায়েপ ১২ টি কম্পোনেন্ট নিয়ে পরিচালিত এর মধ্যে সবচেয়ে সফল ও জনপ্রিয় কম্পোনেন্ট হচ্ছে স্কুল ও মাদ্রাসা পর্যায়ে এ সি টি কম্পোনেন্ট। শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া রোধে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে এ সি টি শিক্ষরা ।

এমনকি বাল্য বিবাহ রোধেও ব্যাপক অবদান তাদের । তারা হোম ভিজিট এর মাধ্যমে আভিবাবকদের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করছে। তিনটি বিষয়ে এ সি টি কম্পোনেন্ট পরিচালিত বিজ্ঞান, ইংরেজী, গনিত। অনার্স পর্যায়ে গড়ে যে সকল শিক্ষার্থীদের নাম্বার ৫০% এর উপরে ছিলো শুধু তাদেরকেই নিয়োগ দিয়েছেন সেকায়েপ কতৃপক্ষ।তিন বছর মেয়াদী এই প্রজেক্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিলো শিক্ষার মানউন্নয়নে গ্রাম পর্যায়ে শিক্ষার্থী ঝড়েপড়া রোধে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের মানউন্নয়ন। শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ করে দেখা যায় যে এই সকল বিষয়ে এ সি টি শিক্ষকরা সফল হয়েছে এবং অতিরিক্ত ক্লাসের কারণে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে হয় না । কিন্তু সারা বাংলাদেশের ন্যায় টেকনাফ এর সেকায়েপভুক্ত এ সি টি শিক্ষকরা চার মাস যাবৎ বেতন পাচ্ছেন না।

অনেকে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন তাদের জীবন চলছে বিভীষিকাময়। এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে টেকনাফ সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের এ সি টি ( ইংরেজি) শিক্ষক ও টেকনাফ উপজেলা সভাপতি, বাংলাদেশ এসিটি এসোসিয়েশন মোঃ আমিন উল্লাহ সাইফ বলেন, চার মাস বেতন নেই এরপরও প্রজেক্টেরর মেয়াদ ডিসেম্বরে শেষ, কোন উপায় পাচ্ছি না। প্রতিদিন স্কুলে যেতে হয়, আসা যাওয়ার খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হয়। কতৃপক্ষ আগে বলেছিলো প্রজেক্ট প্রোগ্রামে রুপান্তরিত হলে আমাদের সেখানে ট্রান্সফার করবে,কিন্তু বর্তমানে এর কিছুই বলছে না। তাই আমরা চরম হতাশার ভিতর দিন কাটাচ্ছি। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ যেন আমাদের ব্যাপারে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছাত্র- ছাত্রীদের সাথে আলাপকালে দেখা যায় যে, তাহারাও এ সি টি দের নিয়ে উৎকন্ঠায় আছে।