ড. মো. নায়ীম আলীমুল হায়দার
শরণার্থী বা উদ্বাস্তু (ইংরেজি: জবভঁমবব) একজন ব্যক্তি যিনি নিজ ভূমি ছেড়ে অথবা আশ্রয়ের সন্ধানে অন্য দেশে অস্থায়ীভাবে অবস্থান করেন। জাতিগত সহিংসতা, ধর্মীয় উগ্রতা, জাতীয়তাবোধ, রাজনৈতিক আদর্শগত কারণে সমাজবদ্ধ জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তাহীনতাই এর প্রধান কারণ। যিনি শরণার্থী বা উদ্বাস্তুরূপে স্থানান্তরিত হন, তিনি আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে পরিচিত হন। আশ্রয়প্রার্থী ব্যক্তির স্বপক্ষে তার দাবীগুলোকে রাষ্ট্র কর্তৃ স্বীকৃত হতে হবে। ১৯৫১ সালে জাতিসংঘ কর্তৃ শরণার্থীদের মর্যাদা বিষয়ক সম্মেলনে অনুচ্ছেদ ১এ-তে সংক্ষিপ্ত আকারে শরণার্থীর সংজ্ঞা তুলে ধরা হয়। একজন ব্যক্তি যদি গভীরভাবে উপলদ্ধি করেন ও দেখতে পান যে, তিনি জাতিগত সহিংসতা, ধর্মীয় উন্মাদনা, জাতীয়তাবোধ, রাজনৈতিক আদর্শ, সমাজবদ্ধ জনগোষ্ঠীর সদস্য হওয়ায় তাঁকে ঐ দেশের নাগরিকের অধিকার থেকে দূরে সরানো হচ্ছে; সেখানে ব্যাপক ভয়-ভীতিকর পরিবেশ বিদ্যমান এবং রাষ্ট্র তাকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে; তখনই তিনি শরণার্থী হিসেবে বিবেচিত হন। ১৯৬৭ সালের সম্মেলনের খসড়া দলিলে উদ্বাস্তুর সংজ্ঞাকে বিস্তৃত করা হয়। আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকায় অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক সম্মেলনে যুদ্ধ এবং অন্যান্য সহিংসতায় আক্রান্ত ব্যক্তি কর্তৃক নিজ দেশত্যাগ করাকেও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই সংজ্ঞায় শরণার্থীকে প্রায়শই ভাসমান ব্যক্তিরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সম্মেলনে গৃহীত সংজ্ঞার বাইরে থেকে যদি যুদ্ধের কারণে নির্যাতন-নিপীড়নে আক্রান্ত না হয়েও মাতৃভূমি পরিত্যাগ করেন অথবা, জোরপূর্বক নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত হন- তাহলে তারা শরণার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন।
শরণার্থী সংক্রান্ত সমস্যা বর্তমান বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ও ভয়াবহ এক মানবিক সংকট। বিশ্ব সম্প্রদায় সমস্যাটির কারণে মারাত্মক উদ্বিগ্ন। জাতিগত বিরোধ, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণতা, ধর্মীয় সংঘাতসহ নানা কারণে স্বদেশত্যাগী হয়ে ভিন্ন দেশে আশ্রয় নিচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। মূলত প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার পর থেকেই নানা দেশে শরণার্থী সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু শরণার্থী সমস্যা যখন আরো প্রকট আকার ধারণ করতে লাগল, তখন থেকে শরণার্থীদের আইনগত স্ট্যাটাস নির্ধারণের জন্য রাষ্ট্রগুলো নতুন আন্তর্জাতিক দলিল করার প্রয়োজন বলে মনে করে। যা পরবর্তী সময়ে ১৯৪৮ সালের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা (টউঐজ) এবং ১৯৪৯ সালে চারটি জেনেভা কনভেনশন ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আঞ্চলিক চুক্তি ও ঘোষণা এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। (টউঐজ) অনুচ্ছেদ ১৪(১)-এ বলা আছে, ‘প্রত্যেকেরই নিগ্রহ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অন্য দেশে আশ্রয় প্রার্থনা ও তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। ‘শরণার্থীবিষয়ক মূল আইন হলো শরণার্থীর মর্যাদাবিষয়ক কনভেনশন (ঈড়হাবহঃরড়হ) ১৯৫১ এবং জবভঁমবব চৎড়ঃড়পড়ষ অনুযায়ী শরণার্থী সেই ব্যক্তি; যিনি জাতিগোষ্ঠী, ধর্ম, বর্ণ, জাতীয়তা, নির্দিষ্ট সামাজিক সংগঠনের সদস্যপদ বা রাজনৈতিক মতাদর্শ নিজ দেশের বাইরে অবস্থান করছেন এবং নিজ দেশের নিরাপত্তা পেতে যিনি অপারগ অথবা অনিচ্ছুক বা নিগ্রহে ভীতির কারণে সেখানে ফেরত যেতে চান না।
শরণার্থী রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বেশির ভাগ অধিকার ১৯৪৮ সালের (টউঐজ) ঘোষণার মূল অধিকারগুলো ছিল :
* ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার অধিকার।
* আশ্র প্রার্থনা ও পাওয়ার অধিকার।
* অত্যাচার অথবা নিষ্ঠুরতা, অমানবিক বা মর্যাদাহানিকর ব্যবহার বা শাস্তি থেকে মুক্তি।
* দাসত্ব বা দাসত্ববন্ধন থেকে মুক্তি।
* আইনের সামনে একজন ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি।
* চিন্তা, চেতনা ও ধর্ম পালনের স্বাধীনতা।
* অবৈধ গ্রেপ্তার ও আটকাবস্থা থেকে মুক্তি।
* ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবন এবং বাড়িতে অবৈধ অনুপ্রবেশ থেকে মুক্তি।
* মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা।
* শিক্ষা পাওয়ার অধিকার।
* সমাজের সাংস্কৃতিক জীবনে অংশগ্রহণের অধিকার।
কোনো সদস্য রাষ্ট্র কোনো শরণার্থীকে বহিষ্কার কিংবা এমন কোনো সীমান্ত বা ভূখ-ে ফেরত পাঠাবে না, যেখানে তার জীবন বা স্বাধীনতা তার বর্ণ, ধর্ম, জাতীয়তা, কোনো নির্দিষ্ট সামাজিক সংগঠনের সদস্যপদ বা রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে হুমকির সম্মুখীন হয়- অনুচ্ছেদ ৩৩(১) এই কনভেনশনে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দলিল ছিল আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন। যিনি একজন শরণার্থী তার সম্পূর্ণ বিবরণসহ এবং উল্লেখ্য ন্যূনতম অধিকার বঞ্চিত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করা হবে, যাদের দেখা যাবে তারা এরূপ পর্যায়ে রয়েছেন। এ ব্যাখ্যা ওই সব ব্যক্তির ওপর প্রয়োগ হবে, যারা নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে অবস্থান করছেন এবং শরণার্থী হয়েছে ১ জানুয়ারি ১৯৫১ সালের আগ পর্যন্ত। অন্যদিকে ১৯৬৭ সালের প্রটোকল অনুযায়ী শরণার্থী হচ্ছেন সেই ব্যক্তি― যিনি জাতি গোষ্ঠী, ধর্ম, বর্ণ, জাতীয়তা, নির্দিষ্ট সামাজিক সংগঠনের সদস্যপদ বা রাজনৈতিক মতাদর্শগত কারণে নিজ দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। নিজ দেশে নিরাপত্তা নেই তাই সেখানে ফেরত যেতে চান না।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এখনও আসছে। এ ছাড়া আগে থেকেই ছিল প্রাই ৫ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। এরপর থেকেই ফের কথা উঠেছে শরণার্থী আইন প্রণয়ন নিয়ে। জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনে সই না করায় বিশ্বকে পাশে পেতে নিজেদের আইন এখন জরুরি হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের জন্য। নিজেদের আইন না থাকায় এই বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ব্যবস্থাপনায় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলেও মন্তব্য করছেন আন্তর্জাতিক আইন বিশ্লেষকরা। এরই মধ্যে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট হওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সুনির্দিষ্ট পরামর্শ ও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ বিভাগ।
বাংলাদেশ দীর্ঘকালব্যাপী শরণার্থী সমস্যার মোকাবেলা করলেও এখন পর্যন্ত ১৯৫১ সালে প্রণীত জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেশন, ১৯৬৭ সালের প্রটোকল এবং ১৯৫৪ সালের রাষ্ট্রহীন মানুষের জন্য কনভেশন এ স্বাক্ষর করেনি। বাংলাদেশ শরণার্থীবিষয়ক কোনো আইন নেই। বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেনশন ও আইনের প্রতি সর্বদা শ্রদ্ধাশীল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও সমতার প্রতি শ্রদ্ধা, অন্যান্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদে প্রণীত নীতিগুলোর প্রতি শ্রদ্ধার কথা। মূলত ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনের ভিত্তি হচ্ছে মানবাধিকার ঘোষণা সনদ। সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার অনুচ্ছেদের ১৪-এ বলা হয়েছে, নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে প্রত্যেকের অধিকার রয়েছে অন্য দেশে আশ্রয় পাওয়ার। আমাদের সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদে বিধৃত আছে ‘আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা থেকে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাবে না।’ এ অনুচ্ছেদে ‘ব্যক্তি’ শব্দটি আন্তর্জাতিক রূপ পরিগ্রহ করেছে। ‘ব্যক্তি’ শব্দটি উল্লেখ থাকায় বিশ্বের সব মানুষের মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে, শুধু বাংলাদেশের নাগরিকের জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার অভিব্যক্তি এটি নয়। একইভাবে বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের রীতি-নীতি পালন করে যদিও বাংলাদেশ শরণার্থী সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছে, কিন্তু শরণার্থী সমস্যার গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশের শরণার্থী সংকটের দ্রুত ও কার্যকর সমাধানের প্রয়োজন। দেশকে ভবিষ্যতে এ সংক্রান্ত কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি থেকে রক্ষায় শরণার্থী বিষয়ক একটি জাতীয় আইন প্রণয়নের গুরুত্বকে কোনো ভাবেই অস্বীকার করা যায় না। শরণার্থীবিষয়ক আইনের শূন্যতার কারণে শরণার্থীদের ওপর সরকারের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ খুবই দূর্বল। শরণার্থীবিষয়ক যে কোনো স্থায়ী বন্দোবস্ত গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হতে হয়।
যেহেতু এই কনভেনশনে সই করলে শরণার্থী একবার আশ্রয় চাইলে তাকে ফেরত পাঠানো যাবে না সেহেতু বেশিরভাগ রাষ্ট্র এই দায়িত্ব কাঁধে নিতে চায় না। আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইনে আরও বলা আছে, শরণার্থীরা শুধু আশ্রয় প্রদানকারী দেশেরই বোঝা নয় বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও বোঝা। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে থাকলে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের মাধ্যমে সেই বোঝা লাঘব করার প্রয়াস করে থাকে। আমরা যেটা করছি তা মানবিক। সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় আমরা সই করলেও মূল ভিত্তি যে কনভেনশন সেখানে সই করিনি। এমনকি প্রটোকলেও না। তার মানে এত শরণার্থী আসলে তাদের আমরা কিভাবে পরিচালিত করবো তার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।
আমাদের দেশে ফরেনার্স অ্যাক্ট রয়েছে। কিন্তু সেটি দিয়ে পরিচালনা করতে হলে বাংলাদেশে বসবাসরত অন্যান্য দেশের নাগরিক হতে হবে এবং তাকে পাসপোর্ট ভিসাধারী হতে হবে। এই রোহিঙ্গাদের এখন যে শিশু জন্ম হবে তাদের নাগরিকত্ব কি বাংলাদেশ দেবে? কেননা নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী জন্মসূত্রে নাগরিক হওয়ার কথা। যদি তা না দেওয়া হয় তাহলে কিসের ভিত্তিতে। আবার যদি সংবিধানের কথা বলি,সংবিধানে শরণার্থীর আইনি অধিকার নিতে পারবে সে কথা পরোক্ষভাবে দেওয়া আছে। তারা যদি আইনি আশ্রয় নিতে চায় কোন আইনে নেবে, আমাদের প্রচলিত আইন নাকি নতুন করে আইন হবে সেই বিষয় গুলোর সুরাহা এখনই করতে হবে।
আমাদের শরণার্থী বিষয়ক কোন আইন নেই, এ ছাড়া ১৯৫১ সালের কনভেনশন ও ১৯৬৭ সালের প্রটোকল এ স্বাক্ষর করা থেকে বিরত আছি কিন্তু ১৯৪৮ সালের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা ও নানা ধরনের মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষর এবং আমাদের সংবিধানের কিছু পরোক্ষ অনুচ্ছেদ এর প্রয়োগের মাধ্যমে নিরীহ শরণার্থীদের অধিকার কিছুটা হলেও সংরক্ষন করা যায়। বর্তমানে প্রায় ১০ লক্ষের মত রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে অবস্থান করছে এর ফলে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও আইন শৃঙ্খলার ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এসব সমস্যার কথা বিবেচনা করে শরণার্থীবিষয়ক আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে এই মুহুর্তে আইনের পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের স্বস্তির জন্য দ্রুত রোহিঙ্গা নিবন্ধন অত্যাবশ্যক।
লেখক- সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, আইন বিভাগ, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।