শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি:

পরিবেশ আইনে পাহাড় কর্তন ও মোচনের জন্য কঠোর এই নির্দেশনা থাকলেও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় এটি মানা হচ্ছিল না অনেক দিন ধরে। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসনের কোন অনুমতি ছাড়াই এসব পাহাড় কাটা হচ্ছে এমন খবর প্রশাসন জানতে পেরে তাৎক্ষুনিক উপজেলা নির্বাহী হাকিম এসএম সরওয়ার কামালের নেতৃত্বে সেই পাহাড় গুলো অভিযানে পাহাড় কাটার সত্যতা পাওয়া যায়। গত (২১ নভেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্টের দলটি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বাঘানঘোনা, স্কুলপাড়া, ব্যবসায়ীপাড়া ও বিছামারা গ্রামের অভ্যান্তরে উঁচু পাহাড় কেটে নির্মিত পাকা দালানের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল, মাটি সরানোর দুটি ভ্যান গাড়ি, তিনটি পাওয়ার পুল হরিজেন লাইট ও পাহাড় কাটার কাজে ব্যবহিৃত নানা সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এসব উঁচু পাহাড় কাটার অপরাধে জড়িত ৬ প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে গতকাল (২২ নভেম্বার) বুধবার পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সাইফুল আশরাব বাদি হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় এসব মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদি সাইফুল আশরাব২২ নভেম্বার রাতে মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১২এর ৬(খ) ধারায় পাহাড় কাটায় জড়িত নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ব্যবসায়ীপাড়ার মৃত আবদুল গফুরের ছেলে হোসনে মোবারক, ফারুক, ইয়াসির আরাফাত, স্কুলপাড়ার রফিক ছিদ্দিকীর ছেলে মোবারক ছিদ্দিক, বাগানঘোনা গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে ছৈয়দ আলম, বিছামারা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ তৈয়বের ছেলে মোহাম্মদ হাসানের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রত্যেক মামলায় ৬ থেকে ৭জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়ে কোন ছাড় নেই। উপজেলায় পাহাড় নিধনকারীদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।