এম.মনছুর আলম,চকরিয়া:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বরইতলী ইউনিয়নের অধীনে ২০১৬-১৭অর্থ বছরের জন্য শষ্যক্ষেতসহ যাবতীয় মালামাল থেকে টোল আদায়ের জন্য ৫টি গুদি ডাক(ইজারা)দেয় পরিষদ কর্তৃপক্ষ।

পরিষদ থেকে ইজারা নেয়া ব্যাক্তিরা বাজারে ক্ষেতের মালামাল নিয়ে আসা সাধারণ চাষি ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের ইজারাদার মালামাল জিম্মি করে দ্বিগুণ টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।এনিয়ে কৃষক ও ভুক্তভোগীরা ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানাগেছে,উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নস্থ পহরচাঁদা কুতুব বাজারে সকাল-সন্ধ্যা প্রতিদিন বাজার বসে।দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রেতা ও ক্রেতারা সমাগম ঘটে।দেশের উৎপাদিত কষিজাত পণ্য মালামাল ক্রয়ের অন্যতম বাজার হিসেবে পরিচিত।বাজার হিসেবে পরিচিত হলেও কিন্তু সেখানে টাঙ্গানো হয়নি সুনির্দিষ্ট টোল আদায়ের কোন মুল্য তালিকা।বাজারের ওপর নির্ভরশীল হওয়া প্রায় ১০হাজার কৃষক গ্রামীণ অঞ্চলে উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিজাত তরিতরকারিসহ বিভিন্ন কাঁচামালের ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবসা বাণিজ্য করেন ওই বাজারটিতে।বাজারটি প্রতি বছরের ন্যায় চলতি অর্থ বছরেও নিয়মতান্ত্রিকভাবে টোল আদায়ের জন্য বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ ৫টি ভাগে ভাগ করে গুদি ডাক (ইজারা)দেওয়া হয়। পরিষদের বাজার ফান্ড প্রশাসনের নিয়মানুযায়ী টোল আদায় করছেন ক্রেতা বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ইজারাদাররা।

বাজারের ব্যবসায়ী মো.জুবাইর স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন,বাজারে আসা কৃষিজাত দ্রব্য বিভিন্ন মালামালে প্রতি বস্তা ৫টাকা করে টোল দেয়ার কথা থাকলেও এখন ওই সব মালামালে বাজারের প্রবেশধারে দ্বিতীয় বারের মতো টোল আদায় করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।এনিয়ে ইজারা নেয়া দক্ষিণ পাড়া-গোবিন্ধপুর এলাকার ইজারাদার বেলাল উদ্দিন বাদশা’র সাথে তার ক্রয়কৃত কৃষিজাত মালামল জিম্মি করে রাখা ও দ্বিগুণ টোল আদায় নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।ইউনিয়ন পরিষদ রপ্তানিকৃত মালামালের ওপর থেকে টোল আদায়ের কথা বললেও বাজার থেকেই দ্বিতীয় দফা একই মালামালে টোল আদায় করেন বলে অভিযোগ তুলেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন,ইউনিয়ন পরিষদের কোন আয়ের উৎস না থাকায় এলাকায় উৎপাদিত কৃষিকাজ পণ্যসহ অন্যান্য পণ্যের ওপর থেকে টোল আদায়ের জন্য ইজারাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।তবে বাজারে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হচ্ছে বলে কোন ব্যবসায়ীরা আমাকে অভিযোগ করেনি।সাধারণ কৃষক ও ব্যবসায়ী কাছ থেকে যদি কোন ইজারাদার দ্বিগুণ টোল আদায় করে থাকে তাহলে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক ওই ইজারাদার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।