আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহর বাড়িতে হুথি বিদ্রোহীরা বোমা হামলা চালিয়েছে। হামলায় সাবেক এ প্রেসিডেন্ট নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেলেও তার দল থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সালেহর বেঁচে থাকা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে।
সোমবার সকালের দিকে ইরান সমর্থিত গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিস্ফোরণে সালেহ নিহত হয়েছেন। তবে তার রাজনৈতিক দল জেনারেল পিপলম কংগ্রেস এ খবর প্রত্যাখ্যান করেছে।
সালেহর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, বোমা হামলায় প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনীর প্রধান হুসেইন আল-হামিদির প্রাণহানি ঘটেছে। তবে তার প্রাণহানির ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। সোমবার হুথি নিয়ন্ত্রিত একটি রেডিও স্টেশন বলছে, বাসভবনে বোমা হামলায় সালেহ নিহত হয়েছেন।
এর অাগে সানাভিত্তিক এক মানবাধিকার কর্মী আল-জাজিরাকে বলেন, সালেহর অনুগত বাহিনীর কাছে রাজধানীর অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।
২০১৫ সালে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট সমর্থিত ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে দেশত্যাগে বাধ্য হন। পালিয়ে থাকায় ইয়েমেনের নির্বাসিত এই প্রেসিডেন্টকে ফের ক্ষমতায় বসানোর লক্ষ্যে একই বছরের ২৫ মার্চ থেকে হুথি বিদ্রোহীদের ওপর হামলা শুরু করে সৌদি জোট।
জোটের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ হাজার ইয়েমেনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে হাজার হাজার নারী ও শিশু রয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছে দেশটির লাখ লাখ মানুষ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।