আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
১২ বছর বা তার চেয়ে কমবয়সী শিশুকে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে অপরাধীকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। সোমবার ভারতের মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় এ ব্যাপারে একটি বিল পাস করা হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়া বিলটি অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রের কাছে যাবে এবং আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছেও পাঠানো হবে।
সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, ভারতের মধ্যে মধ্য প্রদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। প্রস্তাবিত আইনে ১২ বছরের নিচে কোনো মেয়েকে ধর্ষণে সর্বনিম্ন ১৪ বছরের কারাদণ্ড কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।
এছাড়া ১২ বছর কিংবা তার চেয়ে কম বয়সের মেয়েকে দলগত ধর্ষণে সর্বনিম্ন ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এ ব্যাপারে জানান, জো লোগ ১২ সালকি মাসুম বাচ্চিকা বলাৎকার কারতিহে ও মানুষ্যা নেহি, পিশাচ হে, উনে জিনে কা অধিকার নেহি। অর্থাৎ যারা শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে, তারা মানুষ নয়, তারা অমানুষ এবং তাদের বেঁচে থাকারও অধিকার নেই।
তিনি আরও বলেন, বারবার কোনো মেয়েকে উত্ত্যক্ত করলে সেটা জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। তাছাড়া অপরাধীকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩১ অক্টোবর কোচিং থেকে ফেরার সময় ১৯ বছরের এক কিশোরী দলগত ধর্ষণের শিকার হয়। পরে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয় এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
সেই ঘটনার জেরেই নতুন আইন পাস করতে যাচ্ছে মধ্য প্রদেশ সরকার।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।