মো: ফারুক / এম.জুবাইদ, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার অতিপ্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ পেকুয়া মডেল জি এম সি ইনষ্টিটিউশন জাতীয়করণ হতে যাচ্ছে। সদ্য ঘোষিত জাতীয়করণ তালিকার ৪ নাম্বারে আছে এ প্রতিষ্টানটির নাম। ১৯২৯ সালে পেকুয়ার হতদরিদ্র জনগোষ্টির সন্তানদের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে প্রতিষ্টা করেছিলেন পেকুয়া জমিদার বাড়ীর প্রখ্যাত জমিদার মরহুম গুরামিয়া চৌধুরী। এ বিদ্যালয়টি শুরু থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত বিভিন্ন সালে বোর্ড পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে জেলা তথা বোর্ডে সুনাম অর্জন করেছে। এ পর্যন্ত বোর্ড ফলাফলে বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের মধ্যে জেলার শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এ প্রতিষ্টানটিতে বর্তমানে প্রায় ২৭০০ ছাত্রছাত্রী এবং এমপিওভুক্ত ও খন্ডকালিনসহ মিলিয়ে ২৮ জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে। সূত্র মতে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ট হওয়ার পর প্রতিটি জেলায় একটি করে কলেজ এবং একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণের ঘোষণা দেয়। সেই ঘোষণা অনুয়ায়ী প্রথম ধাপে পেকুয়া উপজেলায় কোন প্রতিষ্টান তালিকাভুক্ত হয়নি। ২য় ও ৩য় পর্যায়েও কোন প্রতিষ্টান তালিকাভুক্ত হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৪র্থ পর্যায়ে পেকুয়া উপজেলার একটি সুনামধন্য প্রতিষ্টান পেকুয়া মডেল জি এম সি ইনষ্টিটিউশনের নাম উঠে আসে। পেকুয়া মডেল জি এম সি ইনষ্টিটিউশন জাতীয়করণের তালিকায় দেখে লন্ডন বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত পেকুয়া মডেল জি এম সি ইনষ্টিটিউশনের মেধাবী ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এ প্রতিবেদককে ফোনে বর্তমান সরকারকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন। পেকুয়াবাসী ভাগ্যবান আখ্যায়িত করে সে আরো বলেন বিদ্যালয়ের বার্তাটি গন্তব্য স্থানে পৌছলো ভাগ্যের চাকা গুরলো। উপজেলা সদরের এক মাত্র প্রাচীন বিদ্যালয় এটি। নানা প্রতিকূলতার মাঝে সরকারী করণ হতে যাচ্ছে এ প্রতিষ্টানটি। এ প্রতিষ্টানের সুনাম ধরে রাখার জন্য হাল ধরেছিলেন বিভিন্ন এলাকার সুনামধন্য ব্যক্তিরা পরে পেকুয়া জমিদার বাড়ী প্রখ্যাত জমিদার মরহুম কবির আহমদ চৌধুরীর পুত্র এ এম এম শাহাজাহান চৌধুরী। তিনি দীর্ঘকাল এ প্রতিষ্টানটি নানা শৃংঙ্খলার মধ্য দিয়ে পরিচালনা করেছিলেন। পরে তিনি চাকুরী থেকে অবসরে যান। পরে হাল ধরেন পেকুয়া জমিদার বাড়ীর আরেক সন্তান এনামুল হক চৌং। তিনিও ৩ বছর দায়িত্বপালন করে অবসরে যান। পরে প্রধান শিক্ষকের হাল ধরেন সহকারী শিক্ষক জহির উদ্দিন। তিনিও ১ বছর দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্বপালনকালে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সভাপতি পদে অধিষ্ট হন পেকুয়া জমিদার বাড়ীর মরহুম মাষ্টার আহামুদুল হক চৌধুরীর কন্যা জেলা আ’লীগের সদস্য উম্মে কুলছুম মিনু। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই শুরু করেন নানা মিশন। প্রথমে শুরু করেন ক্যাবিন্টে নির্বাচন এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সরকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ। সুষ্ট ভাবে সম্পন্ন করেন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। ওই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান হন জহির উদ্দিন এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হন নুরুল হোছাইন। এর পর পরই শুরু করেন বিদ্যালয় সরকারী করণের নতুন মিশন। তিনি সরকারী করণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে ধন্না দিয়ে নানা ত্যাগ তিতক্কার পর অবশেষে সরকারী করণের তালিকায় উঠে আসে পেকুয়া মডেল জি এম সি ইনষ্টিটিউশনের নাম। সূত্রে মতে জানাযায় এ বিদ্যালয়টি সরকারী করণের পিছনে পুরো অবদান রেখেছেন তিনি।
এক প্রতিক্রিয়া বিদ্যালয়ের সভাপতি ও জেলা আ’লীগের সদস্য উম্মে কুলছুম মিনু জানান, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। আমি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর এ বিদ্যালয়টি সরকারী করণ হতে যাচ্ছে এটি সু-ভাগ্যের ব্যাপার। আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন জানান শিক্ষা ডটকমে প্রকাশিত জাতীয়করণের তালিকায় অত্র বিদ্যালয়ের নাম দেখেছি। সরকারী করণ হতে যাচ্ছে এটি অত্যন্ত খুশির খবর। আমি প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই আমার মিশন ছিল যেকোন ভাবে পেকুয়ার এ প্রতিষ্টানটি সরকারীকরণ করা। শুকর আল্লাহামদুল্লিাহ আমি দায়িত্বপালনকালে সরকারী করণ হতে যাচ্ছে। এটি পেকুয়াবাসীর সুভাগ্যের ব্যাপার। এ বিদ্যালয়টি সরকারী করণে দীর্ঘ দিনের দাবী পেকুয়াবাসীর। সরকারীকরণের পিছনে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির অবদান অপরসীম। বহুদিন পর এ বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ করায় প্রধানমন্ত্রী, ম্যানেজিং কমিটি এবং পেকুয়াবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।