( বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক স্কুল কমিটি গঠনের ঘোষণায় দেশে পক্ষে বিপক্ষে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে সিবিএন অভিভাবক , শিক্ষক , ছাত্রছাত্রী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের কাছ থেকে সুচিন্তিত ভাবনাগুলো তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । যা পর্যায়ক্রমে প্রকাশিত হবে । – সম্পাদক , সিবিএন )
স্কুল কমিটি গঠন নিয়ে এবারের সিবিএন ভাবনায় এসেছেন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল হার্ভাড কলেজের ছাত্রী ইয়াছমিন সুলতানা। বক্তব্যটি গ্রহন করেছেন সিবিএন শিক্ষানবিশ রিপোর্টার নুসরাত পাইরিন।
প্রশ্ন:কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কর্তৃক প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্টানে কমিটি দেওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছে এটি আপনি কিভাবে দেখছেন?
ইয়াছমিন সুলতানা : আমরা জানি শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড,কিন্তু এই শিক্ষা অর্জনে বর্তমান ছাত্ররাজনীতি কোন আশানুরুপ সহায়ক শক্তি নয়। এ রকম কোন রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্যকে শিক্ষা প্রতিষ্টানে প্রাধান্য দিতে গেলে শিক্ষা প্রতিষ্টানের শৃংখলার পরিবর্তে বিশৃংখলা হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। একটি শিক্ষা প্রতিষ্টান পরিচালিত হয় রাষ্ট্রিয় , সামাজিক,মানবিক,নৈতিক কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থায় । কিন্তু ছাত্র রাজনীতি এই প্রশাসনিক ব্যবস্থায় নিজেদের প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে দ্বৈত প্রশাসনিক ব্যবস্থার সৃষ্টি করে । ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হতে পারে , কিন্তু সরাসরি রাজনৈতিক সম্পৃক্ততায় নয় ।
এদেশের ছাত্ররাজনীতি মানে দলীয় লেজুড় বৃত্তি । ছাত্রলীগ/ ছাত্রদল/ শিবির কখনো একটি শিক্ষা প্রতিষ্টানের সহায়ক শক্তি হতে পারে না। প্রতিটি ছাত্র এক একটি দেশের সম্পদ। দেশের সম্পদ সঠিকভাবে বেড়ে ওঠতে রাজনৈতিক স্বার্থের উর্ধ্বে ওঠা উচিত । তাই এই দিকটি শিক্ষা প্রতিষ্টানের সাথে যুক্ত করে দেশের মূল্যবান সম্পদ গঠনে ব্যাঘাত ঘটানো সামাজিক,মানবিক,নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কখনো কাম্য নয়। তাই স্কুল তো দুরের কথা , সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করা দরকার। শুধূ মাত্র ছাত্রদের স্বার্থে ছাত্র সংসদ থাকলে চলবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।