রাজনীতিক ইদ্রিস আহমেদ নাগরিক শোকসভায় বক্তারা
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
কক্সবাজার জেলার বিশিষ্ট রাজনীতিক, বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, কক্সবাজার কলেজ ছাত্র সংসদের প্রথম ভিপি, ঐক্য ন্যাপের কেন্দ্রীয় নেতা, মুক্তিযুদ্ধকালীন ন্যাপ-কমিউনিষ্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গেরিলা বাহিনীর সংগঠক, কক্সবাজার অঞ্চলে ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা, সামাজিক আন্দোলনের বলিষ্ঠ সংগঠক ইদ্রিস আহমদ স্মরণে কক্সবাজার জেলাবাসির পক্ষ থেকে নাগরিক শোকসভা গতকাল শনিবার ২৩ শে ডিসেম্বর বিকালে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয়।
শোকসভা কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী বদিউল আলম সভায় সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন ঐক্য ন্যাপের কেন্দ্রীয় সভাপতি দেশবরেণ্য রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টচার্য, বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কামাল হোসেন চৌধুরী, বিশিষ্ট সংগঠক অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি দীলিপ দাশ, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, বিশেষ পিপি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ঐক্য ন্যাপ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও শোকসভা আয়োজক পর্যদের সমন্বয়কারী গিয়াস উদ্দিন, ইদ্রিস আহমদের পরিবারের পক্ষ থেকে কন্যা হাসিনা আকতার মুক্তা, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পাভেল দাশ সূচনা বক্তব্য দেন এবং ইদ্রিস আহমদের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন শোকসভা কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক-সংস্কৃতি কর্মী মুহাম্মদ আলী জিন্নাত।
বিশিষ্ট জনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী পীযুষ কান্তি চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রিয়তোষ পাল পিন্টু ও ফজলুল কাদের চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, ট্রেড ইউনিয়ন নেতা অনিল দত্ত, আশির দশকের বিশিষ্ট ছাত্রনেতা, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সংগঠক জাবেদ মোহাম্মদ শামসুল হুদা ছোট, ন্যাপ নেতা শামীম আহসান বুলু, জেলা ঐক্য ন্যাপের সভাপতি রবীন্দ্র বিজয় বড়–য়া, জেলা খেলাঘরের সভাপতি আবুল কাসেম বাবু, সাংবাদিক খেলাঘর সংগঠক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-খনিজ সম্পদ, বন্দর রক্ষা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সমীর পাল, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী জেলা সংসদের সভাপতি কল্যান পাল, আদিবাসী নেতা মংথহ্লা রাখাইন, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা, যুব ইউনিয়নের নুর মোহাম্মদ, ইদ্রিস আহমদের জামাতা মোহাম্মদ আলমগীর, অ্যাডভোকেট মোঃ নুরুল হক, কবি মানিক বৈরাগী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মীর্জা ওবায়েদ রোমেল, খেলাঘর সংগঠক রিদুয়ান আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শম্ভুনাথ চক্রবর্তী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পী-কর্মীদের ‘আগুনের পরশ মনি জ্বালাও প্রাণে’ সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে। এরপর এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালনের মধ্যদিয়ে ইদ্রিস আহমদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞলি প্রদর্শন করা হয়। ইদ্রিস আহমদের পরিবারকে স্মৃতি স্মারক হিসেবে প্রদান করা হয় পোষ্টার, আমন্ত্রণপত্র, উত্তরীয় ও একটি পোট্রেট ছবি।
শোকসভায় বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে বাংলাদেশ, সেই সুখী সমৃদ্ধিশালী, অসাম্প্রদায়িক, শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন, উদার মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে ইদ্রিস আহমদের জীবন থেকে আগামী প্রজন্মকে শিক্ষা নিতে হবে। ইদ্রিস আহমদের মতো সৎ, সাহসী, অসাম্প্রদায়িক, মানবিকবোধ সম্পন্ন রাজনীতিকদের স্মৃতিকে চিরকাল ধরে রাখতে হবে।
আলোচকরা বলেন, ইদ্রিস আহমদ প্রচারবিমুখ ছিলেন, কিন্তু কাজ পাগল ছিলেন। আর সেই কাজগুলো ছিলো দেশ-জাতি-সমাজ ও মানুষের কল্যানে।
শোকসভায় ‘রাজনীতিক ইদ্রিস আহমদ স্মারক গ্রন্থ’ প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় সর্বসম্মতিক্রমে। প্রসঙ্গত গত ৪ঠা ডিসেম্বর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।