হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল জামিয়া এমদাদিয়া বড় মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২৮ জন এ প্লাসসহ শতভাগ পাস করেছে বলে জানা গেছে। একটি প্রতিষ্টান থেকে এত বেশী ‘এ+’ এবং শতভাগ পাস বিরল। ২৮ জন এ প্লাসসহ শতভাগ পাস করে সেরা প্রতিষ্টানে পরিণত হয়েছে লেঙ্গুরবিল জামিয়া এমদাদিয়া বড় মাদ্রাসার নূরানী। সেরা শুধু টেকনাফ উপজেলা নয়, অন্য কোন নুরানীতে এ ধরণের সাফল্যের তথ্য পাওয়া যায়নি।
‘এ+’ প্রাপ্তরা হচ্ছে মোঃ হোসন ও সিরুয়া বেগমের ছেলে সাহেদ হোসাইন মামুন, আবদুর রহিম ও ফরিদা আক্তারের ছেলে মোঃ শাহিন আলম, ফজল করিম ও ফাতেমা খাতুনের ছেলে ফায়সাল, নুর হোসাইন ও খাতিজা বেগমের ছেলে শফি আলম, জহির আহমদ ও নাসিমা খাতুনের ছেলে মোঃ আবদুল্লাহ, ইমাম হোসেনের ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে আনোয়ার হোসেন, গুরামিয়া ও ফারভিন আক্তারের ছেলে আফছার হোসাইন, আবদুস সালাম ও ছেনোয়ারা বেগমের ছেলে সায়েম উদ্দীন, জাহেদ হোসাইন ও হাসিনা বেগমের ছেলে শাহেদ হোসাইন, হাফেজ হামিদুর রহমান ও জুলাইখা বেগমের ছেলে মোঃ মুসা, ফরিদ আলম ও ধলা বানুর ছেলে রাকিবুল হাসান, আবু তাহের ও জন্নাত আরা বেগমের ছেলে মোঃ ফয়েজ, হাবিবুর রহমান ও আয়েশা ছিদ্দিকার ছেলে মোঃ ওমর ফারুক, আবুল কাশেম ও রশিদা খাতুনের ছেলে মোঃ রাশেদ, নাজির হোসাইন ও আয়েশা খাতুনের ছেলে মোঃ তারেক, মোঃ ইউনুচ ও খদিজা বেগমের ছেলে মোঃ আবদুল্লাহ, মৃত আবুল কাশেম ও আরজিনা আক্তারের মেয়ে তারজিনা শারমিন মেঘনা, ইউসুফ মিস্ত্রী ও সাবেকুন্নাহারের মেয়ে তানিয়া সুলতানা রিফা, আবদুল জব্বার ও মরিজাহানের মেয়ে মোছাম্মৎ ওয়াদাহ, শাকের আহমাদ ও মাহমুদা খাতুনের মেয়ে রুমি আক্তার, সৈয়দ হোসাইন ও বুলবুল আক্তারের মেয়ে জন্নাতুল ফেরদাউস, মোঃ ইদ্রিস ও মাবিয়া খাতুনের মেয়ে হালিমা সাদিয়া, হাঃ হামিদুর রহমান ও জুলাইখা বেগমের মেয়ে আসমাউল হুসনা, ইমাম শরিফ ও মোস্তাফা খাতুনের মেয়ে রুকিয়া আকতার, হাফেজ নুরুল আমিন ও মোস্তাফা খাতুনের মেয়ে রুকিয়া আক্তার, মোঃ ইদ্রিস ও ফরিদা খাতুনের মেয়ে সাবেকুন্নাহার, সৈয়দ হোসাইন ও শামশুন্নাহারের মেয়ে সুমাইয়া সুলতানা রিয়া।
‘এ মাইনাস’ প্রাপ্তরা হচ্ছে মোঃ ছিদ্দিক ও শবে মেরাজের ছেলে মোঃ ইউসুফ, মৃত মোঃ হোসাইন ও মনোয়ারা বেগমের ছেলে মহিউদ্দীন, হাফেজ ইসমাঈল ও আমিনা খাতুনের ছেলে আবদুল্লাহ, জহির আহমদ ও নাসিমা খাতুনরে ছেলে মোঃ আমিন, ইউসুফ ও তৈয়বা খাতুনের ছেলে ওমর ফারুক, ইবরাহিম ও ছালেহা বেগমের ছেলে মোঃ রিদওয়ান, রশিদুল্লাহ ও লায়লা বেগমের ছেলে জাহেদ উল্লাহ, আবদুল আজিজ ও পারভিন আক্তারের ছেলে সাইফুল ইসলাম, ইয়াহিয়া ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে ইসমাইল, জাফর আলম ও মনোয়ারা বেগমের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন, আবুল হোসইন ও আনোয়ারা বেগমের মেয়ে রাশেদা বেগম, ফরিদ আহমদ ও জুহুরা বেগেমের মেয়ে নাসিমা আক্তার, হোসন আহমদ ও খুরশিদা বেগেমের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার, সৈয়দ হোসাইন ও জাহেদা বেগমের মেয়ে শরিফা বেগম, নবী হুসাইন ও মিনারা বেগমরে মেয়ে সফায়াতুল মরিয়ম শামিমা, ছিদ্দিক আহমদ ও শবে মেরাজের বেগম মেয়ে ইয়াসমিন আরা, মাওঃ কবির আহমদ ও ফাতেমা খাতুন মেয়ে জন্নাতুল মরিয়ম, ইবরাহিম ও সালেহা বেগমেরে মেয়ে উম্মে হারেছা, জাহাঙ্গির আলম ও তাসলিমা খাতুনের মেয়ে জাকিয়া হক জ্যোতি, হাফেজ মোঃ ইয়াকুব ও হাসিনা বেগমের মেয়ে হাফসা ফারুকা, আয়াছ ও সাঈদা বেগমের মেয়ে তাসমিনা আক্তার রিজা, আবুল হাশিম ও রশিদা বেগেেমর মেয়ে তাহমিনা আক্তার, বশির আহমদ ও দিলোয়ারা বেগেমের মেয়ে নুসরাত ফাতেমা দিলসাদ, আবদুল্লাহ ও মনোয়ারা বেগমের মেয়ে ইয়াসমিন আকতার, আবুল হাশেম ও ফরিদা বেগমের মেয়ে মনোয়ারাা বেগম মনু, কালা মিয়া ও জাহেদা খাতুনের মেয়ে তাহমিনা আক্তার তুফা, জাহেদ হোসাইন ও ছমিরা ইয়াসমিনের মেয়ে নির্জুলা আক্তার লিপা, ছিদ্দিক আহমদ ও আমিনা খাতুনের মেয়ে হুমাইরা জন্নাত, মমতাজ মিয়া ও ফিরুজা খাতুনের মেয়ে রুমানা আকতার, তজিল আহমদ ও হামিদা খাতুনের মেয়ে আসমা আক্তার, মোঃ তৈয়ব ও গোলবাহারের মেয়ে মনিরা ইয়াসমিন, মোঃ হুসাইন ও নুর জাহানের মেয়ে সাজেদা আক্তার, শবিবর আহমদ ও ইয়াসমিন আক্তারের মেয়ে হালিমা সাদিয়া আক্তার, মাওঃ জহির আহমদ ও মুরশিদার মেয়ে মরজান, ফরিদ মিয়া ও সুফিয়া খাতুনের মেয়ে ফারহানা আক্তার, হুসাইন আহমদ ও ফাতেমা খাতুনের মেয়ে ছমিরা আক্তার, সৈয়দ হুসাইন ও উম্মে সালমার মেয়ে সাদিয়া আক্তার, আবদুর রহমান ও রহিমা খাতুনরের মেয়ে লুৎফা, ইমাম হুসাইন ও তৈয়বার মেয়ে সুমাইয়া, আবদুল গফুর ও আফরোজা পারভিনের মেয়ে আফনান রিহাব, আবদুল হাশেম ও আয়েশা খাতুনের মেয়ে রুবিনা আক্তার, আবুল হাশেম ও আয়েশা খাতুন মেয়ে রুকিয়া আকতার।
নুরানী বিভাগের প্রধান মাওঃ ওসমান হাছান জানান, ১৯৯৮ সালে নুরানী বিভাগ চালু হয়। ২০১৭ শিক্ষা বছরে শিশু শ্রেনীতে ১০৬ জন, ১ম শ্রেনীতে ১৫৮ জন, ২য় শ্রেনীতে ১৪২ জন, ৩য় শ্রেনীতে ১৩৩ জন এবং ৪র্থ শেনীতে ৪৩ জন মোট ৫৮২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল।
বর্তমানে নুরানী বিভাগে ৯ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এরা হলেন চকরিয়ার মাওঃ ওসমান হাছান, মাওঃ কফিল উদ্দিন, মহেশখালীর মাওঃ জালাল উদ্দিন ও আবদুর রহীম, মাওঃ মাহফুজুর রহমান, চকরিয়ার হাফেজ শহিদুল্লাহ, টেকনাফের মাওঃ ওসামা কবির, চকরিয়ার মাওঃ ইউসুফ এবং রামুর মাস্টার সাইফুল ইসলাম।
কয়েকজন অভিভাবক জানান, শিক্ষকগণের প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতায় লেঙ্গুরবিল মাদ্রাসার নুরানী বিভাগের উন্নত লেখাপড়ার কারণে প্রতি বছর বোর্ড পরিক্ষায় সাফল্য অর্জন করে আসছে। প্রতি বছরই শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও আর্থিক অভাবে শিক্ষার্থীর তুলনায় অবকাঠামো তথা মাদ্রাসা ঘর নেই। বর্তমানে ২০১৮ সালের নতুন শিক্ষা বছরের জন্য শিক্ষার্থী ভর্তি চলছে। নতুন বছরেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে। কিন্ত যে পরিমাণ ভবন আছে তাতে মোটেও সংকুলান হবেনা।