বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ বিনিযোগ হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালীতে। তাতে কতটুকু উপকৃত হবে এই এলাকার মানুষগুলো??? প্রথমে আসি সরকার গৃহিত মহেশখালীর উল্লেখযোগ্য প্রকল্প সমূহ মাতারবাড়ী কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র, পার্যায়ক্রমে হোয়ানক, কালারমারছড়া পর্য়ন্ত বিস্তৃত কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র, ভাসমান এল এনজি টার্মিনাল, পাহাড় কেটে তেলের টার্মিনাল, বেজা কাছে প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য রক্ষিত মহেশখালীর ম্যানগ্রোভ সোনাদিয়া হস্তান্তর ইত্যাদি। এসব প্রকল্পে জনগনের আশার প্রতিফলন কতটুকু? বাংলাদেশের অন্যতম ঘনবসতি অঞ্চল মহেশখালী, আয়তন
মাত্র ৩৬৮ বর্গকিলোমিটার। প্রতিবর্গ কিলোমিটারে ১০০০ উপরে মানুষের বসবাস, প্রধান আয়ের উৎস পান চাষ, লবন চাষ, চিংড়ী চাষ, শুটকি মহল ইত্যাদি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো উৎপাদিত লবন দেশের চাহিদা মেটায়, বাকি সব পন্যই বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশে অর্থনৈতিক সনির্ভরতার যোগান দিচ্ছে। সরকার গৃহিত প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে হাজার হাজার লোক গৃহহীন হয়ে পড়ছে, অন্যদিকে আয়ের উৎস সংকোচিত হয়ে আসছে। ধ্বংসের পথে আমাদের শিল্প গুলো এর দায় রাষ্ট্র এড়াতে পারে না। বলতে গেলে বিনা বাধায় জনগন সরকারকে নিজের বসতবিটা, আবাদি জমি নামমাত্র মূল্যে দিয়েছেন, ভালো কিছু পাওয়ার আশায়। একদিকে জৈববৈচিত্র ধ্বংস হবে, অন্যদিকে সামুদ্রিক মাছ হারিয়ে যাবে। আশার কথা, আগামি ২৫শে জানুয়ারি ১৭ইং, বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাদার অফ হিউম্যানেটি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহেশখালী আসবেন, তাই আপনার দিকে তীর্ত্বের কাকের মত থাকিয়ে আছি, আপনি আমাদের স্থায়ী পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করবেন, গৃহিত প্রকল্পে ৭০% জনবল মহেশখালীর স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়োগ দিবেন, প্রযোজনে প্রশিক্ষেনের ব্যবস্থা করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে মহেশখালীবাসীর দাবী সমূহ ১। মহেশখালীবাসীর দুঃখ জেটিঘাট, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে শিশু,নারীসহ বিভিন্ন পেশাজীবির লোকজন, দ্রুত ড্রেজিং ও জেটি সম্প্রাসারণের ব্যবস্থা করতে হবে। ২। রাস্তা সম্প্রাসারণের খুবই জরুরী, ইতোমধ্যে ভারী ষন্ত্রাংশ পরিবহনকালে অহরহ দূর্ঘটনার সম্মূখীন হচ্ছে। ৩। গভীর সমুদ্র বন্দর বাস্তবায়ন দ্রুত সময় শুরু করতে হবে। সর্বপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি পারবেন মহেশখালীবাসীর মুখে হাসি ফুটাতে। মহেশখালীবাসী আপনাকে দু’হাত ভরে দিয়েছেন, এখন আপনার দেওয়ার পালা। অপেক্ষায় রইলাম………।
স্বাগতম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ষোলকোটি জনগনের অভিবাবক।
এলাকাবাসীর পক্ষে
মেহেদী হাসান পাবেল
সভাপতি
হোয়ানক সিভিল ইয়ুথ কোঅপারেটিভ সোসাইটি লি.।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।