ফরিদুল মোস্তফা খান:
তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে টেকনাফের উনছিপ্রাং এলাকায় মোঃ জিয়াউর রহমান প্রকাশ কালু নামে এক ব্যবসায়িকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করার ঘটনায় ৬ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ। বরং ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে জোর তদবির চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতিপক্ষরা। সেজন্য সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা থানায় দালাল লেলিয়ে দিয়েছে।
তবে, এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মাঈন উদ্দিন বলেছেন, সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনায় যতবড় রাঘব বোয়ালই জড়িত থাকুক তাকে আইনের কাঠগড়ায় যেতে হবে। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ ও চিকিৎসার কাগজপত্রসহ ভিকটিমের পক্ষ থেকে এজাহার দেয়া হলে তা নিশ্চয়ই নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজুর পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের শায়েস্তা করা হবে।
৯ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১০ টার দিকে নৃশংস এ বর্বরতার শিকার স্থানীয় নুরুল ইসলামের পুত্র মোঃ জিয়াউর রহমান প্রকাশ কালু। ঘটনার পরপরই কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা টানা চার দিন সেখানে তার চিকিৎসা করানোর পরও শারীরিক অবস্থার উন্নতি করতে না পারায় ১৪ জানুয়ারি তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভিটকিম জিয়াউর রহমানকে মধ্যযুগীয় বর্বরতায় ধারালো অস্ত্র সস্ত্র দিয়ে মারাত্মক আঘাত করেছে। ফেলে দিয়েছেন তার একটি কাঁচা দাঁত।
আহতের দাবী- এ ঘটনায় উনছিপ্রাং এলাকার সালামতুল্লাহ, আবু বক্কর প্রকাশ নুইন্না ডাকাত, রহমত উল্লাহ, আবদুস ছোবহান, লালু, আবদুল মালেক, আশরাফ আলী বাহাদুর, করিম উল্লাহসহ অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েকজন জড়িত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিরীহ লোকজনের জমি জবর দখল, অস্ত্র, ইয়াবা ব্যবসা ছাড়াও ভয়ংকর যতসব অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত। এলাকায় এদের ব্যাপক প্রভাব প্রতিপত্তি ও ভারী অস্ত্রসস্ত্র থাকায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খোলার সাহস পায় না। এ অবস্থায় সচেতন মহলের দাবী নিরীহ ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানকে হত্যা প্রচেষ্টাসহ হরেক কুকীর্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে থাকা অস্ত্র সস্ত্র উদ্ধার এখন সময়ের দাবী। ফলে এ ব্যাপারে সচেতন জনগণ জেলা পুলিশ সুপার, র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব ও টেকনাফ থানা পুলিশ সহ উর্ধতন আইনশ্ঙ্খৃলা বাহিনীর আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।