নিজস্ব প্রতিবেদক:
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরফাত রহমান কোকোর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিষ্ঠুর নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে উখিয়ার পালংখালীতে অবস্থিত ড্যাবের চিকিৎসা ক্যাম্পে ড্যাব এর মহাসচিব ও বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেন উপস্থিত থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম জাহাঙ্গীর, ডা. মেহেদী হাসান, ডা, সিফাত ইসলাম, ডা. আরেফিন, ডা. ইমরান হাফিজ,ডা. নাসরীন সুলতানা, ফার্মাসিস্ট সঞ্জয় বালা, মো, নাজিম উদ্দীন ও ল্যাব। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রোহিঙ্গাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী চালু করেছিল। এই এই পর্যন্ত সাড়ে ১২ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
শীতবস্ত্র বিতরণকালে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, একদম শুরুতেই রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছে বিএনপি। সরকার যখন পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের গুলি করে তাড়িয়ে দিয়েছিল তখন এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। একই সাথে তাদের মানবিক আশ্রয় দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য বিএনপির শুরু থেকেই নানা ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। দলের পক্ষ থেকে বিপুল ত্রাণ রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরণ ও দলের সারাদেশের বিভিন্ন স্তরের নেতারাও বিপুল ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। বিএনপির এই ত্রাণ সহযোগিতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। একইভাবে অসুস্থ ও বিপর্যস্ত রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা সেবা দিতে শুরুতেই চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন করে ড্যাব। এরই অংশ হিসেবে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দেশনেত্রী খালেদা ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী চালু করে।
জানা গেছে, ১৫ হাজার রোহিঙ্গার মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ড্যাব। এরই মধ্যে ১২ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারকে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে ড্যাব। শীতবস্ত্রেও মধ্যে রয়েছে কম্বল, চাদর ও সোয়েটার। অন্যদিকে ড্যাবের চিকিৎসা সেবাও অব্যাহত রয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত চার লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে চিকিৎসা দিয়েছে ড্যাব। এরমধ্যে গর্ভবতী মহিলাদের কার্ড প্রণয়ন করে ধারবাহিক চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সন্তান ডেলিভারি ও প্রসুতি মায়েদের জন্য নতুন সেবা শুরু হচ্ছে। একই সাথে সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য অপারেশন থিয়েটার চালু করা হবে।
সূত্র মতে, প্রতিদিন ১১০০ থেকে ১৪০০ রোহিঙ্গাকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসা ছাড়াও পর্যাপ্ত ওষুধও দেয়া হচ্ছে। সেই সাথে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়। প্রতিদিন চারজন চিকিৎসক, চারজন ফার্মাসিস্ট নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়াও ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। এই পর্যন্ত দু’শ জন দেশের প্রথিতযশা ড্যাবের চিকিৎসক ক্যাম্পে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।