হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:
গুলি করে শিশু হত্যার আসামী নিয়ে অভিযান চালিয়ে ব্যবহৃত দেশীয় তৈরী অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ১ ফেব্রুয়ারি ভোররাত আড়াই টার দিকে হ্নীলার রঙ্গিখালী লামার পাড়ায় বাঁশ বাগানে মাটির নীচে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরী এলজি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, ৩০ জানুয়ারি প্রতিবেশীর গুলিতে নিহত হয় সাত বছরের শিশু সাদেক হোসেন। এঘটনায় একই এলাকার কবির আহমদের পুত্র বেলাল উদ্দিনকে (৩০) স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছিল। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় (নং- ৩৯/৩০-০১-১৮ইং) মামলা দায়ের করা হয়। পরে ওই আসামীকে ৩ দিনের রিমান্ডে এনে আসামীর স্বীকারোক্তি মতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মহির উদ্দিন খানের নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ একটি দল উপজেলার হ্নীলা রঙ্গিখালী লামার পাড়ায় অভিযান চালিয়ে তার বসত-ঘরের আঙ্গিনার কোনায় বাঁশ বাগানের গোড়ায় মাটির নীচে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরী (এলজি) অস্ত্র উদ্ধার করে। টেকনাফ মডেল থানার ওসি মাইন উদ্দিন খান বলেন, পুলিশ ধৃত আসামীর স্বীকারোক্তিতে তার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। রিমান্ড শেষে তাকে ফের আদালতে প্রেরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি দুপুরে বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করছিল সাদেক, মোজাহিদসহ স্থানীয় শিশুরা। এসময় এক পর্যায়ে প্রতিবেশী আটক বেলাল উদ্দিন সেখানে গিয়ে শিশু মোজাহিদকে খেলা বন্ধ রাখার জন্য চড় থাপ্পড় মারে। এর জের ধরে মোজাহিদের মা নুর আয়েশার সাথে বেলাল উদ্দিনের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে বেলাল উদ্দিন বাড়ী থেকে দেশী বন্দুক নিয়ে গুলি ছুঁড়ে। এতে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায় সাদেক হোসেন (৭) ও আহত হয় মোজাহিদ উদ্দিন (১০)।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।