এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় জমিনের পাকা ধান কেটে লুটের ঘটনায় ছোট ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় আপন বড়ভাই ও তাঁর দুই ছেলেকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবির মাধ্যমে জামিনের প্রার্থনা করলে শুনানী শেষে আদালতের বিচারক মামলার এক নম্বর বিবাদি বদরখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা ছালেহ আহমদ সিকদার ও তাঁর দুই ছেলে হোছাইন মোহাম্মদ কাইফু এবং জাহাংগীর আলমকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবি চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের কৌশলী মো.লুৎফুল কবির।
মামলার বাদি বদরখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ও এক নম্বর বিবাদি ছালেহ আহমদ সিকদার সর্ম্পকে আপন সহোদর। তাদের বাড়ি ইউনিয়নের মাতারবাড়ি পাড়া গ্রামে। তাঁরা ওই গ্রামের মরহুম ছদর আহমদ সিকদারের ছেলে।
বাদি পক্ষের কৌশলী এডভোকেট মো.লুৎফুল কবির বলেন, ২০১০ সালে ফরিয়াদি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর জমিনের পাকা ধান কেটে লুটে নিয়ে যায় বড়ভাই ছালেহ আহমদ সিকদারসহ তার লোকজন। এ ঘটনায় জমি মালিক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বাদি হয়ে বড়ভাই ছালেহ আহমদ সিকদার ও তাঁর দুই ছেলেসহ সহযোগিদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি মামলা (জিআর ৩৩৬/১০) দায়ের করেন। ঘটনার সত্যতা স্বপক্ষে পুলিশ আদালতে প্রতিবেদনও দাখিল করেন। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।
তিনি বলেন, ওই মামলায় এক নম্বর বিবাদি ছালেহ আহমদ সিকদার ও তাঁর দুই ছেলে হোছাইন মোহাম্মদ কাইফু এবং জাহাংগীর আলম গতকাল বৃহস্পতিবার চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবির মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। ওইসময় আদালতের বিচারক মামলার শুনানী শেষে আসামি বাবা ও দুই ছেলের জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদি ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ছালেহ আহমদ সিকদার পরিবারের ভাই-বোনদের পৈত্রিক সম্পত্তি লুটের পাশাপাশি এলাকার দুর্বল প্রকৃতির মানুষের জায়গা-জমি জোরপুর্বক দখলে নিতে সিদ্ধহস্ত। ভুমিদুস্যতা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও হামলা-লুট এবং ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত ছয়টি মামলা রয়েছে। অভিযুক্ত ছালেহ আহমদ সিকদার পেকুয়া উপজেলার করিয়ারদিয়া মৌজার কয়েকটি চিংড়ি প্রকল্পের ভুঁয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণের নামে পাঁচ কোটি হাতিয়ে নিয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।