নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগর বড়ছড়া আশ্রায়ণ প্রকল্পের খেলার মাঠের জমি স্থানীয় প্রভাবশালী দূর্বত্ত কর্তৃক জবর দখল চেষ্টা পন্ড করে দিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নোমান হোসেন প্রিন্স। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে তিনি অভিযানে যান।
স্থানীয় জানান- কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের দরিয়ানগর বড়ছড়ায় চলতি মাসের শুরুতে একটি নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু হওয়ার পর এনজিও পরিচালিত একটি স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়। স্থানীয় আশ্রায়ণ প্রকল্পের খেলার মাঠের একাংশে গত প্রায় ৫ বছর আগে স্কুলটি গড়ে তোলা হয়েছিল। কথা ছিল স্কুল চলে যাওয়ার পর সে জায়গাটিকে আবারো খেলার মাঠে রূপান্তর করার। কিন্তু তার আগেই স্থানীয় দুটি ভূমিদস্যু গ্রুপ বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিযোগিতামূলকভাবে পরিত্যক্ত স্কুলটির ছয়টি কক্ষ দখল করে নেয়। এসময় খেলার মাঠের কিছু অংশও ঘেরাবেড়া দিয়ে জবর দখল করে দূর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় স্থানীয় যুব সমাজ প্রতিবাদে ফেটে পড়লে এনিয়ে ঘটনাস্থলে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার রাতেই ঘটনাস্থলে যান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নোমান হোসেন প্রিন্স। পরে তিনি খেলার মাঠের জমি জবর দখলমুক্ত করেন এবং ভবিষ্যতেও কোন ধরনের অপচেষ্টার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দেন। এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দরিয়ানগর বড়ছড়া যুব সমাজের সভাপতি নুরুল আবছার বলেন- স্থানীয় দুটি জবর দখলবাজ গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পাশ্ববর্তী, খালের তীর, বনাঞ্চলের জমি জবর দখল ও বিক্রির পর আশ্রায়ণ প্রকল্পের জমিতে লোলুপ দৃষ্টি ফেলে। অথচ এই জমিটি আশ্রায়ণ প্রকল্পের খেলার মাঠ হিসাবে নির্ধারিত। ১৯৯৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম দফায় ক্ষমতায় এসে উক্ত আশ্রায়ণ প্রকল্পে ভূমিহীনদের জন্য বাড়িসহ জমি কবলা করে দেন।