আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল( বিএনপির) সভানেত্রী ও তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন পন্থায় তুমুল আন্দোলন গড়ার
কঠোর হুশিয়ারী দিচ্ছিল। এতে পিছিয়ে ছিলনা ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন। যার কারণে রায়ের সময় যতই ঘনিয়ে আসছিল, সাধারণ জনগণের মাঝে, ভয়,আতংক ও উদ্বেগ তাড়া করছিল। অপরদিকে বিরোধীদের আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশ বিজিবির পাশাপাশি ক্ষমতাশীন দলের নেতা কর্মীরাও ঈদগাঁও বাস ষ্টেশনস্থ মহাসড়কে অবস্থান নেয় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে । ৮ জানুয়ারি রায় ঘোষনার পর ঈদগাঁও বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনকে কোন মিছিল,মিটিং কিংবা কোন কিছুই করতে দেখা যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষুব্ধ অনেক নেতাকর্মী জানায়, তাদের আন্দোলনের প্রস্ততি ছিল পর্যাপ্ত। কিন্তু জেলা থেকে কোন নির্দেশ না আসায় তারা রাজপথে নামেননি।
অন্যদিকে শুক্রবার বাদে জুমা দেশ জুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিলেও রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কোন স্থানে মিছিল বা সমাবেশের সংবাদ পাওয়া যায়নি।এমনকি বিগত কয়কদিন যাবত নেতা কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলনের ঝড় তুললেও গ্রেফতার এড়াতে কিছুদিন ধরে ঘর ছাড়া বলে বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে তৃণমূল ও সাধারণ বিএনপি সমর্থকদের অভিমত, কেন্দ্র কর্মসূচী ঘোষণা দিলেও দীর্ঘ সময় ধরে জেলার নির্দেশের দোহাই দিয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ কর্মসুচী পালন থেকে বারবার বিরত থাকায় তাদের ডাকে সাধারণ কর্মীরা আগের মত এগিয়ে আসছেনা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে রায়ের মাসাধিককাল পূর্ব থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পিকনিক আয়োজনে নেতা কর্মীদের উপস্থিতি দৃশ্য ফেসবুকে চোখে পড়ার মতো ছিল। কিন্তু আন্দোলনের মাঠে একদমই হাওয়া ! অন্য দিকে রায় ঘোষণার আগের দিন থেকে তৃতীয় দিন পর্যন্ত আইন শৃংখলা বাহিনী ঈদগাঁও’র গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলো টহল অব্যাহত রেখেছে।