শাহেদ মিজান

১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসেই কক্সবাজারের অগণিত মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার ঠিকানা কক্সবাজারের প্রথম ও শীর্ষ অনলাইন নিউজপোর্টাল কক্সবাজার নিউজ ডটকম-সিবিএন’র জন্ম। আজকের বিশ্ব ভালোবাসা দিবসেই গৌরবের নয় বছর পেরিয়ে ১০ বছরে পদাপর্ণ করছে লাখ লাখ পাঠকের ভালোবাসার সিবিএন। ২০০৯ সালে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসেই সিবিএন’র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই নিউজপোর্টালটি প্রাণভোমরা অধ্যাপক আকতার চৌধুরী।

অনেকের কৌতুহল দেখেছি- ভালোবাসা দিবসেই সিবিএন’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী! এই নিয়ে অনেককে রোমান্টিকতা ও রসিকতা করতেও দেখেছি। এই বিষয়টি নিয়ে আমিও অনেক রোমান্টিকতা অনুভব করি। এই রোমান্টিকতা সিবিএনকে ঘিরে যেমন; তার চেয়ে বেশি রোমান্টিকতা অনুভব করি স্যার আকতার চৌধুরীকে ঘিরে। আসলেই তিনি ভালোবাসা আর রোমান্টিকায় ভরা এক মানুষ। আমি নিশ্চিত করে বলছি, সেই কারণে তিনি ভালোবাসার দিবসেই সিবিএন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

তাঁর সম্পর্কে আরেকটু বলি তাহলে বলতে হয়, ভালোবাসাময় একজন মানুষ তিনি। সব শ্রেণির মানুষকে ভালোবাসার চাদরে জড়িয়ে দেয়ার এক সম্মোহনী ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। তাই একজন রাজনীতিবিদ হলেও সেই সংকীর্ণতা (!) ছাড়িয়ে তিনি কক্সবাজারের জন্য সার্বজনীন একজন মানুষ। কক্সবাজারের রাজনৈতিক, সামাজিকসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ তাঁকে ভালোবাসেন সমানভাবে। স্যারও তার রাজনৈতিক পরিচয়কে ছাপিয়ে সামাজিক পরিচয় দিয়ে মানুষকে আগলে নেন নি:সংকোচে। মূলত তিনি একজন নিরন্তর ভালোবাসার মানুষ। একই সাথে একজন বেষ্ট রোমান্টিক মানুষ। স্যারকে কখনো জিজ্ঞাসা করিনি- কেন সিবিএন’র জন্ম ভালোবাসা দিবসে। তবে বরাবরই আমার অনুভব ছিলো- স্যার নিজের মনের ভালোবাসা ও রোমান্টিকতার বলেই ভালোবাসা দিবসেই তাঁর অপার ভালোবাসার সিবিএনকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

সিবিএন নিয়ে অনেক কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন আকতার স্যার। মাঝে মাঝে নানা মাধ্যমে তাঁর এই কষ্ট ও ত্যাগের কথা জানতে পারি। আমি নিশ্চিত- তিনি কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন বলেই সিবিএন আজকের উচ্চ আসনে অবস্থান করতে পেরেছে। তাঁর প্রচেষ্টায় সিবিএন আজ কক্সবাজারের অগণিত মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। এমনকি বিশ্বজুড়ে নানা দেশ ও প্রান্তরে ছড়িয়ে কক্সবাজারবাসীর জন্মভূমিকে দেখার একমাত্রা জানালা সিবিএন। এছাড়াও বাংলাদেশের রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানের মানুষ সিবিএন দেখেন নিয়মিত। এই অর্জন চাট্টিখানি কথা নয়!

আমরা নি:সংকোচে দাবী করতে পারি, সিবিএন কক্সবাজারের প্রতিনিধিত্ব করছে। কক্সবাজারকে প্রমোট করছে। কারণ প্রতিদিনের সিবিএন মানে প্রতিদিনের কক্সবাজার। কক্সবাজার শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের প্রতি মুর্হতে ঘটে যাওয়া ঘটনার ভিতরের খবর পর্যন্ত সিবিএন প্রকাশ হচ্ছে। এর ফলে শুধু কক্সবাজারবাসী নয়; বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সব কক্সবাজারবাসী তার প্রতিদিনের কক্সবাজারকে হাতের মুঠোয় পাচ্ছেন।

আরেকটা বিষয় ভালো লাগে। তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রসারের ফলে মানুষ এখন মুর্হূতের খবর মুহূর্তে পেতে চায়। সেই চাহিদার মাথায় রেখে আমরা চেষ্টা করি সঠিক তথ্য দিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে সেই সংবাদটা অল্প করে হলেও প্রকাশ করার। এতে পাঠকের কাছ থেকে আমরা বিপুল সাড়া পাই। তাই কোনো কারণে কোনো সংবাদ দিতে একটু দেরি হলে পাঠক ফোন করে তা জানতে চান। তখনই আমরা পুলকিত হই। এতে আমাদের দায়বদ্ধতা আরো বেড়ে যায়। তাই আমরা সব সময় সজাগ থাকি যেন কোনো খবর যেন সংবাদ থেকে বাদ না পড়ে এবং তাও যেন প্রকাশ পায় দ্রুত সময়ে। সব থেকে বড় কথা- আমরা সব সময় চেষ্টা করেছি সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার। সত্যকে নি:সংকোচে তুলে ধরেছি। সবকিছুই ছিলো আমাদের অগণিত পাঠককে ঘিরে।

সম্মানিত পাঠক আপনারা আমাদের সাথে আছেন বলে আমরা কাজ করতে প্রবল উৎসাহ পাই। এগিয়ে যেতে সাহস পাই। আমরা এগিয়ে যেতে চাই আরো বহুদূর। আমাদের আত্মাজুড়ে শুধু কক্সবাজার। কক্সবাজারকে এগিয়ে দিতেই এই অগ্রযাত্রা। আমাদের এই অগ্রযাত্রায় আপনারা সব সময় আমাদের পাশে থেকে অবিরত সাহস যুগিয়ে যাবেন- আজকের এই শুভক্ষণে এই কামনাই থাকলো। আসুন, সবাই মিলে ভালোবাসার রঙ ছড়াই ভূবনজুড়ে!

নোট: আমি সিবিএন’র সাথে আছি দীর্ঘ ছয় বছর। কিন্তু সিবিএন’র একজন কৌশলী হিসেবে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে আমার যাত্রা। শ্রদ্ধেয় স্যার আকতার চৌধুরী আমার হাতে একটি গুরু দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন। চীফ রিপোর্টারের পাশাপাশি সিবিএন’র এডমিন হিসেবে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। আমাকে সর্বোত সহযোগিতা করে যাচ্ছেন আকতার চৌধুরী স্যার ও যুগ্ম-বার্তা সম্পাদক ইমাম খাইর ভাই। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।