সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ মামুন, টেকনাফ:
সেন্টমার্টিন দ্বীপে গিয়ে খুশীতে আত্মহারা হচ্ছেন দেশী-বিদেশী পর্যটক। পর্যটকরা সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য্যসহ অনেক কিছু দেখে মুগ্ধ হয়ে উঠছে। এ বছর অনেক দেশ-বিদেশের পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে যাচ্ছেন। একটু দেরিতে হলেও দেশী-বিদেশী পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হওয়ায় দ্বীপের মানুষগুলো অনেক খুশি। আবার বিকিকিনি চলছে প্রবালসহ হরেক রকমের পণ্য।
জানা গেছে, প্রতিদিন পর্যটকবাহী নয়টির মধ্যে সাতটি জাহাজ পর্যটক নিয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচল করছে। কেয়ারী সিন্দাবাদ ও ক্রুজ এন্ড ডাইনের টেকনাফ ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম ও আব্দুল আজিজ বলেন, পর্যটকরা আরাম আয়েশের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন যেতে এবং দ্রুত সময়ে নিরাপদে আসা-যাওয়া করতে কেয়ারী সিন্দাবাদ ও ক্রুজ এন্ড ডাইনকেই বেচে নিচ্ছে।
অন্যদিকে এলসিটি কুতুবদিয়া জাহাজের ইনচার্জ আব্দুল আজিজ ও মোঃ সিরাজ জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। তবে বড় জাহাজ হিসেবে পর্যটকরা কুতুবদিয়াতে ভ্রমণ করতেই বেশী পছন্দ করে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের আবাসিক হোটেল কিংশুক ও সী স্যান্ড রিসোর্টের ডিরেক্টর মোঃ সরোয়ার কামাল জানান, পর্যটকবাহী জাহাজ আসায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকের ঢল নেমেছে। পাশাপাশি রুম অনেকটা ভর্তি থাকে। এছাড়াও আমাদের হোটেলে বিদুৎ না থাকলেও চব্বিশ ঘন্টা পর্যটকদের সুবিধার জন্য বিদুৎ সুবিধা দেওয়া হয়।
আরেক হোটেল মালিক ফহাদ রিসোর্ট ও স্বপ্ন প্রবালের প্রোপ্রাইটর মোঃ সাইদুল হক ও ব্যবসায়ী মাহে আলম বলেন, পর্যটক আসায় সেন্টমার্টিনে খুশীর জোয়ার বয়ে যাচ্ছে ও হোটেল ব্যবসা অনেকটা ভালই হচ্ছে। যার ফলে পর্যটকরা অত্যান্ত খুশী।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।