আমান উল্লাহ, টেকনাফ (কক্সবাজার) :

টেকনাফে কৃষক-কৃষাণীর মাঝে কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতি ও উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভায় প্রাথমিকভাবে জরীপকৃত তালিকাভুক্ত নির্বাচিত উপকারভোগী ১২টি কৃষক দলের মাঝে এসব কৃষি যন্ত্রপাতি ও উপকরণ বিতরণ করা হয়।

কৃষি যন্ত্রপাতি ও উপকরণের মধ্যে রয়েছে ৩৬টি পাওয়ার টিলার, ৩৬টি পাম্প মেশিন, ৩৬টি স্প্রে মেশিন এবং বিভিন্ন জাতের সবজী বীজ।

১২টি কৃষক দলের মধ্যে হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ২টি, হ্নীলা ইউনিয়নে ৩টি, টেকনাফ সদর ইউনিয়নে ২টি, সাবরাং ইউনিয়নে ১টি, বাহারছড়া ইউনিয়নে ২টি, সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউনিয়নে ১টি, পৌরসভায় ১টি।

মঙ্গলবার টেকনাফ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে আনুষ্টানিকভাবে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

জানা গেছে, ‘ইমার্জেন্সী নিউট্রিশন এন্ড ফুড সিকিউরিটি ইন্টারভেশন ফর পিপলস এফেক্টেড বাই দ্যা রিফুজী ক্রাইসিস ইন কক্সবাজার’ প্রকল্পের আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) সার্বিক সহযোগিতায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার কৃষকদের সহায়তা হিসাবে প্রায় ১ কোটি টাকা মুল্যের এসব সামগ্রী বিতরণ করে।

তালিকাভুক্ত নির্বাচিত ১২টি কৃষক দলের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি ও উপকরণ বিতরণ উপলক্ষ্যে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ হোসেন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্টিত হয়। অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের এনডিসি অতিরিক্ত সচিব (আরআরআরসি) মোঃ আবুল কালাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা উপ-পরিচালক আ. ক. ম. শাহরিয়ার, টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ রফিক উদ্দিন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ইমার্জেন্সী কো-অর্ডিনেটর সুমাইয়া, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ইমার্জেন্সী কো-অর্ডিনেটর পিটার এগ্নিউ। স্বাগত বক্তব্য দেন ও সভা উপস্থাপনায় ছিলেন টেকনাফ উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। আলোচনা সভা শেষে অতিথিগণ ১২টি কৃষক দলের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি ও উপকরণ বিতরণ করেন। এর আগে ১২টি কৃষক দলের ৫ জন করে উপস্থিত কৃষক-কৃষাণীদের কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের উপর সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

জানাগেছে, প্রাথমিকভাবে জরীপ করে ১২টি কৃষক মাঠ স্কুল ভিত্তিক ১২টি কৃষক দল গঠন করা হয়েছে। কৃষক মাঠ স্কুলের প্রত্যেক দলে ২০ জন করে কৃষক-কৃষাণী রয়েছেন।

এ অনুষ্টানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই), সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।