সমকাল: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে টেস্টে অকৃতকার্যরা বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর থেকে এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক) সবুজ আলম স্বাক্ষরিত এ আদেশে আরও বলা হয়, পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগপর্যন্ত নির্বাচনী পরীক্ষার খাতা সংরক্ষণ করার জন্য প্রধান শিক্ষক অথবা অধ্যক্ষদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টি তত্ত্বাবধান করা হবে।
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, এই পরিপত্রের পর কোনো শিক্ষার্থী যদি এক বিষয়েও ফেল করে, তাহলে তার আর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। অনেক সময় দেখা যায়, টেস্টে অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে জরিমানা নিয়ে বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এই অনিয়ম রোধে অধিদপ্তর থেকে আদেশ জারি করা হলো।
নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও ক্লাসে ৭০ শতাংশ উপস্থিতি থাকলে ছাত্রছাত্রীদের এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে ২০১৫ সালে একটি পরিপত্র জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে সময় মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য ছিল, নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে কোনো বিধিনিষেধ না থাকলেও কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাস দেখানোর জন্য এক বা একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্যদের পরীক্ষায় আটকে দিত। এ ছাড়া অসুস্থতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে কিছু শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে না বলেও সে সময় পরিপত্রে বলা হয়।
আরও বলা হয়, শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষকে গুরুত্বের সঙ্গে নির্বাচনী পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় ফল খারাপ করলে তা বিশ্নেষণ করে তাদের সতর্ক করতে এবং দুর্বল ও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে বলা হয়েছিল। যদিও সে বছরেই আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ওই নির্দেশনা বাতিল করা হয়েছিল। এর তিন বছর পরে মঙ্গলবার ‘টেস্টে অনুত্তীর্ণরা চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না’ মর্মে আদেশ জারি করা হলো।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।