প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু:
চকরিয়া উপজেলার উত্তর ঘুনিয়া গ্রামের কিশোরী কান্তা বড়–য়ার অকাল মৃত্যুতে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কান্তা বড়ুয়ার বাবা সুকুমার বড়ুয়া বাদী হয়ে কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে উক্ত মামলা দায়ের করেন। মামলায় কান্তার স্বামী টিপু দাশ, শ্বাশুড়ি রিনা দাশ, শ্বশুর সোহাগ দাশসহ মোট আটজনকে আসামী করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘুনিয়া গ্রামের সুকুমার বড়–য়ার কিশোরী মেয়ে কান্তা বড়–য়া। কান্তা বড়–য়া একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। লেখাপড়া আর বেশিদূর এগোয়নি।
কান্তা একই পাড়ার টিপু দাশ নামের এক যুবককে পরিবারের অমতে ছয় মাস আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে তারা এলাকার বাইরে ছিল। গত প্রায় চার সপ্তাহ আগে কান্তা স্বামীর হাত ধরে শ্বশুর-শ্বাশুড়ির বাড়িতে ওঠে। এর কয়েক দিনের ব্যবধানে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে কান্তার মৃত্যু হয়।
পরের দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্তের পর রাতে কান্তার মৃতদেহের সৎকার করা হয়।
কান্তার পরিবারের দাবি, কান্তাকে তার স্বামী টিপু দাশ এবং টিপু দাশের পরিবারের লোকজন নির্যাতন করে হত্যা করেছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।