মোঃ জয়নাল আবেদীন টু্ক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি:
নাইক্ষ্যংছড়ির পার্শ্ববর্তী রামুর উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ার ত্রাস, ডাকাতি, অপহরণসহ নানা অপকর্মের হোতা মোঃ শাহাজান প্রকাশ সুজন ডাকতকে (২২) অবশেষে পুলিশ গেফতার করছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গর্জনিয়া ফাঁড়ীর ইনচার্জ কাজী আরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে এস আই জুয়েলসহ এক দল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তুলাতলী ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। সে ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) কাজি আরিফ উদ্দিন জানান, ইতিমধ্যে তারা বেশ কয়েকজন নাম করা ডাকাত ও সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে অবশেষে সুজন ডাকাতকে ধরতে সক্ষম হয়। তার বিরুদ্ধে রামু থানায় অস্ত্র ও ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে জানান।
এ এস আই জুয়েল বডুয়া জানান, আটক ডাকাত সুজনকে বুধবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়। রামু পূর্ব অঞ্চলের আলোচিত ডাকাতদের আটকের ঘটনায় পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ার হাজার হাজার মানুষ মাঝে স্বস্তি দেখা যায়।
জানা যায়, সুজন ডাকাত সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া রামু-নাইক্ষ্যংছড়ির শীর্ষ সন্ত্রাসী ডাকাত আবদুর রহিম, আবু নয়ন প্রকাশ সোনা মিয়া ও এলাকার আলোচিত শাহীন বাহিনীর সহযোগী বলে জানা যায়।
এলাকার সচেতন মহলের দাবী সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়ির দৌছড়ী, ঈদগড় বাইশারীতে যে অপহরণ সংঘটিত হয়েছে তাতে সুজন জড়িত। নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু সকল শ্রেণীর মানুষের দাবী উক্ত ডাকাত ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রশাসন যেন কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।