ডেস্ক নিউজ:
জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে প্রায় সকল মানুষই মানসিক সমস্যায় ভোগে। কোনো মানুষের এই সমস্যাটা বেশি হয়। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে খুবই কম। কিন্তু আপনার দৈনন্দিন কার্যক্রম থেকে কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করলে অতি সহজে মুক্তি পেতে পারেন মানসিক সমস্যা থেকে।
সোজা হয়ে হাঁটুন
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘাড় সোজা করে সামনে দিকে তাকিয়ে হাঁটলে মন মেজাজ ভাল থাকে। যদি ঘাড় নিচু করে নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁটেন তাহলে হয়ত আপনি ইতিবাচক ব্যাপারের চাইতে নেতিবাচক ব্যাপার বেশি খেয়াল করবেন।
সবকিছুর ছবি তোলা বন্ধ করুন
নিজের যেকোনো মুহূর্তের ছবি ক্যামেরা বন্দী করে রাখা অনেকেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে। এর মাধ্যমে হয়তো স্মৃতি ধরে রাখা সম্ভব, কিন্তু সাইকোলজিক্যাল সায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, আপনি কোন কিছুর ছবি তুলতে চাইলে অবশ্যই বিষয়বস্তুর দিকে খেয়াল রাখুন। আর এটা মেনে চললে মানসিক সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
ব্যায়াম
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের একটি গবেষণা অনুযায়ী সপ্তাহে তিনবার ব্যায়াম করলে মানসিকভাবে বিষণ্ণ হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ১৯ শতাংশ কমে যায়। এছাড়া যারা বেশি কর্মঠ তাদের বিষণ্ণ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
আলসেমি বন্ধ করা উচিত
সময়ের কাজ সময়ে শেষ করা উচিত। পরে করবেন এমন মনোভাব নিয়ে কোনো কাজ ফেলে রাখবেন না। এতে ফেলে রাখা কাজটি একসময় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে কাজটি করার জন্য একধরনের ভয় সৃষ্টি হয়, যা আপনার স্নায়ুতে সমস্যা হবে।
পর্যাপ্ত ঘুমান
পর্যাপ্ত না ঘুমালে অনেক সময় মানুষ বিষণ্ণতায় ভোগে, সৃষ্টি হয় মানসিক অসুস্থতা। যদি আপনার ঘুমাতে সমস্যা হয়ে থাকে তবে আপনি সাহায্য চান, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খান।
নিজেকে সময় দিন
বন্ধু-বান্ধব, পরিবার এবং অফিসের সবাইকে সব সময় হাসিখুশি রাখা মানে আপনি নিজেকে সময় দিচ্ছেন না, নিজের প্রতি অবহেলা করছেন। নিজে একা সময় কাটানোর জন্য সময় খুঁজে বের করুন, নিজের জন্য কিছু করুন, নিজের ভাল লাগে এমন কাজ করুন। এতে আপনার বিষণ্ণতা কমবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।