বিশেষ প্রতিবেদক :

কক্সবাজার সোনালী ব্যাংকে গ্রাহক সেবা নিতে বকশিসের নামে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। বিশেষ করে পাসপোর্ট ফরমের জন্য সরকারি টাকা জমা দিতে পে অর্ডার করতে বা পে অর্ডার ভাঙতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে টাকা দিতে হচ্ছে টাকা ।  কোন কারনে টাকা না দিলে তাকে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

টেকপাড়া এলাকার ওসমান গনি বলেন ৩০ জানুয়ারী একটি জমি রেজিস্ট্রি করতে আমার ভাইকে দিয়ে ২১ হাজার টাকার পে-অর্ডার করায় কক্সবাজার সোনালী ব্যাংক থেকে কিন্তু সেখানে রেজিস্ট্রি ফি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হওয়াতে সে পে অর্ডার ভাঙ্গার জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারী সোনালী ব্যাংকে গেলে সেখানে ম্যানেজারের  পরামর্শ মতে  দরখাস্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে টাকা নগদ করে। পরে আবার ১৩ হাজার ১৪০ টাকার পেঅর্ডার করতে গেলে পে অর্ডার লিখার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মোঃ সেলিম খরচের টাকা দাবী করেন। তিনি অনেকটা জোর পূর্বক বলেন এখানে সবাইকে খরচের টাকা দিতে হয়। ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত খরচের টাকা দেয় বলে তিনি জানান। এ সময় কিছু সময় দাড়িয়ে দেখা গেছে সেই কর্মকর্তা মোঃ সেলিম পাসপোর্ট আবেদনের জন্য সরকারি নির্দিস্ট ফি দিতে আসা ব্যাক্তিদের কাছ থেকে ফরম দেওয়ার সময় ২০ টাকা করে আদায় করছেন। আধাঘন্টার মধ্যে অন্তত ১০ জনের কাছ থেকে এভাবে টাকা আদায় করতে দেখা গেছে। এ সময় আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন আমি স্ত্রীর পাসপোর্ট ফরম নিয়ে সরকারি টাকা জমা করতে এসেছি কিন্তু তিনি আমাকে ফরম দিতে নানান ভাবে তালবাহানা করেন ।  আমার স্ত্রীর টাকা যদি আমি জমা দিতে না পারে তাহলে  কোথায় যাব। পরে একজনের কথায় উনাকে ৫০ টাকা দিলে তিনি টাকা জমা দেওযার রশিদ দিয়েছে। আর আমি বুঝি না সরকারি টাকা নিতে উনার এত সমস্যা কেন আর উনাকে কেন টাকা দিতে হবে ? এদিকে কক্সবাজারের বেশ কয়েক জন দলিল লেখক বলেন আমরা প্রতি নিয়ত রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত কাজে সোনালী ব্যাংকে পে-অর্ডার করি সেখানে টাকা জমা দেওয়ার সময় ক্যাশ কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বকশিস বাবদ টাকা নিয়ে ফেলে ।   কিছু বল্লে তারা উল্টো আমাদের ধমকি দেয়। পরে নানান ভাবে হয়রানি করে।

এ ব্যপারে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার অমর প্রসাদ নন্দি বলেন,বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক, অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।