শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,কক্সবাজার সদর :
কক্সবাজার সদরের ৪ নং ঈদগাঁও ইউনিয়নের যে সমস্ত লোক মাদক ব্যবসায় জড়িত তাদেরকে সতর্ক করল স্থানীয় পুলিশ,জনপ্রতিনিধি, কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা।জানা গেছে,ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড দরগাহ পাড়া এলাকায় গুটি কয়েক ব্যক্তি এজাহার ফকিরের পুত্র ইয়াছিন ও স্ত্রী, শাহজাহান প্রকাশ শাহায়া ও তার স্ত্রী মনু,গফুর,মোহম্মদের পুত্র কালো, যুগ যুগ ধরে মাদক ব্যবসায় সরাসরি জড়িত।পুলিশ কয়েকশ বার আটক করে আদালতে পাঠালেও আইনের ফাঁকপোক দিয়ে বের হয়ে এসে পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে।সম্প্রতি এলাকায় মাদকের বিস্তার বেড়ে যাওয়া ব্যতিক্রমী উদ্দ্যেগ নিল স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ ছৈয়দ আলম। তিনি ১৪ মার্চ রাতে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়াসহ স্থানীয় মেম্বার, কমিউনিটি পুলিশের সদস্যদের নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ঘরে ঘরে গিয়ে মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য জড়িত এবং তাদের স্বজনদের অনুরোধ জানান।জানতে চাইলে চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম জানান,ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করার ঘোষনা ছিল নির্বাচনী ইস্তেহারে।জনগনের ভোট নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছি জনগনের সেবা করার জন্য। সকলকে সাথে নিয়ে মাদকমুক্ত ইউনিয়ন গড়তে কাজ করে যাব। পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়া বলেন, পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স, মাদক ব্যবসায়ী যতবড় ক্ষমতাবান হোক আইনের আওতায় আনা হবে। প্রাথমিক ভাবে দরগাহ পাড়া এলাকায় যারা জড়িত তাদের সতর্ক করা হয়েছে।স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা পেলে বৃহত্তর ঈদগাঁওকে একটি মাদকমুক্ত এলাকা উপহার দিতে পারব।এ সময় তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক লিটনুর রহমান জয়,এমইউপি জিয়াউল হক,কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি ফিরোজ আহমদ, সাধারন সম্পাদক নুরুল আজিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এদিকে অনেকদিন পর হলেও এ ধরনের উদ্দ্যেগ হাতে নেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী। তবে অনেকের মতে চোরে শুনে না ধর্মের বাণী মন্তব্য করে বলেন মাদকে যারা জড়িত তাদের আটকপুর্বক কঠিন আইনের কাছে সোপর্দ করলে অথবা ভ্রাম্যমান আদালত দিয়ে সাজা প্রদান করলে অনেকটা স্বস্তি পেতে পারে এলাকাবাসী ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।