এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া
চকরিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে রোকেয়া বেগম (২২) নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। স্বামী মোহাম্মদ রুবেল কৌশলে বাপের বাড়ি থেকে ওই গৃহবধুকে নিজবাড়িতে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা। ঘটনার পর ওই নারীর লাশ বাড়ির অদুরে তামাক ক্ষেতের ভেতরে ফেলে দেয়া হয়। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দেয়া খবরের ভিত্তিতে চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশদল কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার লক্ষ্যারচর জিদ্দা বাজার স্টেশনের উত্তর পাশে বার আউলিয়ানগর রাস্তার মাথা লাগোয়া তামাক ক্ষেত থেকে ওই নারীর লাশটি উদ্ধার করেছে। নিহত রোকেয়া বেগম চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের পুবপাড়া গ্রামের দেলোওয়ার হোসেনের মেয়ে। অপরদিকে অভিযুক্ত স্বামী রুবেল পাশের কাকারা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের শাহওমর নগর এলাকার নুরুল আলমের ছেলে।
লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তাফা কাইছার বলেন, রোকেয়া বেগমের সাথে একবছর আগে রুবেল এর বিয়ে হয়। কিন্তু তাদের সংসারে এখনো কোন সন্তান হয়নি। রুবেল কোন কাজ করতেনা। প্রায়সময় আশপাশের বাড়িঘর থেকে ছাগলসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করতেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে চুরির মালামালসহ তাকে ইতোপুর্বে কয়েকবার আটক করা হয়।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, কোন ধরণের কাজ না করে বাড়িতে বসে থাকা ও চুরি-চামারিতে জড়িত থাকার ঘটনায় কিছুদিন আগে স্বামী রুবেলের সাথে ঝগড়া হয় রোকেয়া বেগমের। ওইসময় রুবেল স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে বেধম মারধর করেন। এ ঘটনার পর রোকেয়া বাপের বাড়িতে চলে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, গত সোমবার (১৯ মার্চ) রাতে শ^াশুড় বাড়িতে গিয়ে রুবেল বুঝিয়ে সুজিয়ে স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, বাড়িতে নেয়ার পথে সহযোগিদের নিয়ে রোকেয়া বেগমকে পিটিয়ে ও শ^াসরোধ করে হত্যা করেছে স্বামী রুবেল। এরপর লাশটি ফেলে দেয়া হয় বাড়ির পাশের তামাক ক্ষেতে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তামাক ক্ষেতে এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান গতকাল দুপুরে আমাকে জানান। এরপর তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীর লাশটি তামাক ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক সুরতহাল রির্পোট তৈরী শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল বিকালে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারের সময় লাশের মুখমন্ডলে ও গলার নীচের আঘাতে চিহৃ পাওয়া যায়। ওসি বলেন, ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে মামলা রুজু করা হবে এবং ঘটনায় জড়িত ঘাতকদের গ্রেফতারে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।