আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় আদালত বলিউড সুপাস্টার সালমান খানকে দোষী সাব্যস্ত করলেও পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে সালমান নির্দোষ! মুসলিম বলেই সালমানকে জেলে যেতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ।
বৃহস্পতিবার পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই উত্তাল হয়ে উঠেছে সামাজিক মাধ্যম। খাজা আসিফ বলেন, ‘সালমান সংখ্যালঘু বলেই তাকে জেলে যেতে হলো।
১৯৯৮ সালের ওই মামলায় সালমানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সালমান নিয়মিত আইন ভাঙেন বলেও মন্তব্য করেন আদালত। কিন্তু সে সব মানতে নারাজ ইসলামাবাদ।
জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাক মন্ত্রী বলেন, সালমানকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কারণ তিনি সংখ্যালঘু। ২০ বছরের পুরনো মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। যা থেকে স্পষ্ট ভারতে মুসলিমরা কী অবস্থায় রয়েছেন। সে দেশে মুসলিম বা খ্রিস্টানদের কোনও নিরাপত্তা নেই। কোনও দাম নেই তাদের জীবনের।
খাজা আরও বলেন, ভারতে শাসকদলের সদস্য হলে সালমানকে এই শাস্তি পেতে হত না। তখন দেখা যেত আদালতও তার প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছে।
পাকমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। পাকিস্তানেও সালমানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু সে দেশের মন্ত্রী যেভাবে ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন, তাতে সমর্থন নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অনেকেই পালটা তাকে প্রশ্ন করেছেন, সালমানকে যদি মুসলিম বলে শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে সাইফ আলি খানকে বেকসুর খালাস করা হল কেন? তিনি বুঝি হিন্দু? কেউ আবার লিখেছেন, যে, তাহলে সঞ্জয় দত্তকে জেলে যেতে হল কেন? তিনিও কি মুসলিম?
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।