মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি:
কক্সবাজারের রামু উপজেলা দুর্গম জনপদ কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের নতুন তিতার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল মনছুর কয়েক রকম সবজি চাষ করে এখন স্বাবলম্বী হওয়ার পথে।

স্থানীয় এক পরিবারের কাছ থেকে প্রায় দেড় একর জমি অগ্রিম নিয়ে বিভিন্ন সবজি(তরি-তরকারী) চাষ শুরু করেন। গত দেড় মাস আগে উক্ত জমিতে লাগানো হয় তিত করলা,বরবটি মিষ্ট কুমড়া, শসাসহ কয়েক রকম সবজি চাষ।

কৃষক মনছুর বলেন, রামু ও কক্সবাজারের বীজ বান্ডার থেকে ভাল জাতের এসব সবজির বীজ সংগ্রহ করিএবং পরে ঐ জমিতে বীজ বপন করি। উক্ত সবজি ক্ষেতের মালিক আবুল মনছুর, আরো জানান বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে লোন এবং নিজে পরিশ্রম করে উপার্জন করে লাখ টাকারও বেশি তার এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে এ ক্ষেতে। এক সনের জন্য জমিটি সবজি ক্ষেত করার জন্য নিয়েছেন। খোদার অশেষ রহমতে গত কাল থেকে তার ক্ষেতের সবজি বাজারে বিক্রি করা শুরু করেছে।

সে আরো জানান, গত বছর থেকে তিনি এরকম সবজি চাষ করে আসছে কিন্তু সরকার কিংবা উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসাদের কাছ থেকে কোন সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে এ চাষ শুরু করেন নি নিজের অভিজ্ঞা থেকে এসব সবজি চাষ ৮করেছেন এবং চাষের পরচর্যা করেছেন।

এই প্রতিবেদক সরজমিনে গিয়ে কৃষক আবুল মনছুরের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেড় একর জমিতে কয়েক রকম সবজি লাগিয়েছেন। ক্ষেতে সবজির ভরপুর হয়েছে আল্লাহ রহমতে এখন থেকে বাজার বিক্রি শুরু করেছি। তিনি আরো জানান, আবহাওয়া ও পরিস্থিতি অনুকুলে থাকলে ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব তাই বদলে যাবে ভাগ্যের চাকা। স্থানীয় কৃষি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান তিনি পরিদর্শন করে উপজেলা কৃষি অফিসকে অবগতির কথা জানান।

স্থনীয় জনপ্রতিনিধিদের মতে তিনি সরকারীর পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরো উন্নত ভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে তার এ সবজি চাষ করা সম্ভব হত। যা এলাকার সবজির বাজারের চাহিদা পূরণ হত বলে জানান। স্থানীয় শফিউল আলম জনান আবুল মনছুর পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন। প্রতিদিনের আয় এ ক্ষেতের পিছনে খরচ করেছেন। সে এখন এলাকার আর্দশ কৃষক নামে পরিচিতি লাভ করতে যাচ্ছে।