মমতাজ উদ্দিন আহমদ, আলীকদম:
নবায়ন যোগ্য জ্বালানির ওপর জোর দেয়ার অংশ হিসেবে দেশে আরেকটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। আর ৭৫ মেগাওয়াট সম্পন্ন এ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে মাতামুহুরীতে। মাতামুহুরী নদীতে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে লামা-আলীকদম উপজেলা এবং চকরিয়া বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের চাষাবাদযোগ্য লক্ষ লক্ষ একর ভূমি পানিতে তলিয়ে যাবে। এতে লামা-আলীকদম উপজেলার প্রায় ২ লক্ষ মানুষ বাস্তহারা হওয়ার আশংকা করছেন।
গত ১৬ এপ্রিল দৈনিক আজাদীতে মাতামুহুরী নদীতে জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সংবাদ প্রকাশিত হলে সচেতন মহলে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পত্রিকায়টি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করে।
সূত্রটি জানিয়েছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানির অন্যতম একটি উৎস হচ্ছে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয় কাপ্তাই এলাকায়। বর্তমানে এ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট। এটার পাশাপাশি আরেকটি বড় ধরণের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র মাতামুহুরী নদীতে নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
বাংলাপিডিয়ার মতে, এ নদীর দৈর্ঘ্য ২৮৭ কি.মি.। নদীটি সংলগ্ন প্রধান উপজেলা হচ্ছে চকরিয়া। সাধারণত বিদুৎ চাহিদা মেটাতে সরকার পরিবেশ দূষণমুক্ত এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এদিকে, লামা-আলীকদম উপজেলাবাসীর অগোচরে সরকারের এ ধরণের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগকে হঠকারি সিদ্ধান্ত বলে দাবী করেছেন লামা উন্নয়ন ও জেলা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি রুহুল আমিন ও মহাসচিব সাংবাদিক মো. কামরুজ্জামান।
তারা জানান, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সাবেক লামা মহকুমার অস্তিত্ব বিলীন হবে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী আলীকদম উপজেলা এবং চকরিয়া উপজেলার বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের মানুষ বাস্তহারা হবেন। একই সাথে সরকারের লক্ষ কোটি টাকার স্থাপনা ও উন্নয়ন কাজ পানিতে তলিয়ে যাবে। প্রয়োজনে প্রাণ দিয়ে হলেও এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিহত করা হবে।
তারা আরো বলেন, সরকার ইচ্ছে করলে আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা-পোয়ামুহুুরী এলাকায় মাতামুহুরী নদীতে জলবিদ্যুৎ নির্মিত হলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কম হবে এবং জনস্বার্থ রক্ষা হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।