বার্তা পরিবেশক :

কক্সবাজার সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মাইজ পাড়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছে অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। ২২ এপ্রিল সকালে এ অভিযোগটি দায়ের করা হয়। এসময় অভিযোগের কপি অনুলিপি হিসাবে জেলা প্রশাসক, এডিসি শিক্ষা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসিকে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসান শুভ এর একটি খুবই আপত্তিকর ও অনৈতিক ভিডিও তাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ অবস্থায় কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকগণ খুবই ভীতিকর অবস্থায় রয়েছে। এতদ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ বিগত ২৯ মার্চ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে দায়ের করলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাকে লোক দেখানো গোমাতলী চরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মৌখিকভাবে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চরিত্রহীন উক্ত শিক্ষক হতে রক্ষা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করে শিক্ষার্থীদের সুষ্টুভাবে পড়ালেখার সুযোগ দান ও অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করতে এ অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে। এসময় ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবক মহলের মধ্যে ঈদগাঁও উত্তর মাইজ পাড়ার মোহাম্মদ হোছাইনের পুত্র বর্তমান এমইউপি বজলুর রশিদ, মধ্যম মাইজ পাড়ার মৃত হাবিব উল্লাহর পুত্র ডাঃ ওসমান গণি, উত্তর মাইজ পাড়ার রশিদ আহমদের স্ত্রী ছালেহা বেগম উপস্থিত হয়ে ইউএনও বরাবর এ অভিযোগটি দায়ের করেন। এসময় আপত্তিকর ভিডিওর সিডি এবং স্থানীয় পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত কয়েকটি কপি সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নোমান হোসেন প্রিন্স অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।