সিবিএন ডেস্ক:
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজার পরিদর্শন করবে। এছাড়া আগামী সপ্তাহে মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি’র সদস্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কক্সবাজার পরিদর্শন এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন। একইসঙ্গে কানাডিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীও কক্সবাজার পরিদর্শন করবেন।
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুনশি ফায়েজ আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক চাপ প্রতিদিন বাড়ছে।’ এই চাপের কারণে মিয়ানমার সরকার অনেক কিছু করছে, যা এর আগে তারা করেনি বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে কখনও মিয়ানমারের কোনও কর্মকর্তা বা রাষ্ট্রদূত কক্সবাজার পরিদর্শন করেনি, কিন্তু এখন তাদের মন্ত্রী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের উৎসাহিত করছেন ফেরত যাওয়ার জন্য। শুধু তাই না, তারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলকে মিয়ানমার সফরের অনুমতি দিয়েছে।’
সাবেক ওই রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় তারা এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে, যা এর আগে তারা করেনি।’
মিয়ানমারের অবস্থান পরিবর্তনের পেছনে চীনের একটি বড় ভূমিকা আছে বলে মনে করেন এই সাবেক রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপর চীনের একটি প্রভাব আছে এবং এই সমস্যা সমাধানে চীন আরও বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে।’
মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক ডিফেন্স অ্যাটাশে মোহাম্মাদ শহীদুল হক বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদের সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমি অত্যন্ত আশান্বিত। বাংলাদেশের উচিত হবে নিরাপত্তা পরিষদের কাছ থেকে কোনও ধরনের প্রতিশ্রুতি আদায় করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে এই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো এবং আমরা ঠিকমতো তাদের বোঝাতে পারলে এই সফরটি অত্যন্ত সফল হতে পারে। আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় ওআইসি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আরেকটি ভালো সুযোগ। যেটিকে কাজে লাগিয়ে আমরাই মিয়ানমারের ওপর আরও বেশি চাপ প্রয়োগ করতে পারি।’
গত বছর ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের কারণে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এর আগে থেকে বাংলাদেশে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছিল।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।