বিশেষ প্রতিবেদক :
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচী পালন করেছে থাইল্যান্ড সহ দেশের ২ শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু-শ্রামণ।
থাইল্যান্ডের ধাম্মাকায়া ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এবং কক্সবাজারের রামুর ঐতিহাসিক রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকালে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এ কর্মসূচী পালিত হয়।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্ট থেকে ডায়াবেটিক পয়েন্টের ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়।
পরে তারা ভ্রাম্যমান ধ্যান-কুটির কাঁধে নিয়ে সারিবদ্ধভাবে সৈকতের ১ কিলোমিটার এলাকা পরিভ্রমণ করেন।
রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারের আবাসিক সহ নব-প্রবজ্জিত ২ শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু-শ্রামণ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে। এদের সঙ্গে কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ থাইল্যান্ড থেকে আসা ১০ জন ভিক্ষু-শ্রামণও।
রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারের পরিচালক শ্রীমৎ জ্যোতিসেন থের বলেন, ধর্ম ও আধ্যাত্বিকতা জীবন চর্চা পাশাপাশি মানুষকে ইহ-জাগতিক কর্মোদ্যেম প্রণোদনায় থাকতে হয়। তা না হলে মানব সভ্যতা অচল-অসার হয়ে পড়বে। যুগে যুগে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা মানুষের কল্যাণে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
তিনি বলেন, ” পরার্থে ও স্বার্থহীন জীবন চর্চা আর মঙ্গলকর্ম সম্পাদনই বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মূল লক্ষ্য। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের অর্থনীতির অন্যতম আধার পর্যটন শিল্পের বিকাশে ‘সমুদ্র সৈকতে’ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে। ”
কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন থাইল্যান্ডের ধাম্মাকায়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা লম্প ধাম্মায়াচো ও রামুর রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারের পরিচালক শ্রীমৎ জ্যোতিসেন থের সহ বিশিষ্ঠ বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।